ইউনাবোম্বার টেড ক্যাযেন্সকির কারাগারে আত্মহত্যা!

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১১ ২০২৩, ১২:০৭

থিওডোর টেড কেযেন্সকি ১৭ বছর ধরে বোমা হামলা চালান। ফাইল ছবি

থিওডোর টেড কেযেন্সকি ১৭ বছর ধরে বোমা হামলা চালান। ফাইল ছবি

  • 0

ইউনাবোম্বার হিসেবে পরিচিত ৮১ বছর বয়সী সন্ত্রাসী থিওডোর টেড কেযেন্সকির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। অ্যামেরিকার একটি কারাগারে শনিবার সকালে মৃত অবস্থায় তাকে পাওয়া যায়।

ফেডারেল ব্যুরো অফ প্রিজনের এক মুখপাত্র জানান, কেযেন্সকিকে অনেক ভোরে তার সেলে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। এরপর পরীক্ষা করে তার মৃত্যু সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মৃত্যুর কারণ তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি, তবে ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন।

কেযেন্সকিকে অ্যামেরিকার সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বোমাবাজ হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি ১৯৭৮ সাল থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ১৭ বছর ধরে ১৬টি বোমা পেতে রাখেন অথবা পত্রবোমা হামলা চালান। এসব হামলায় তিনজন নিহত ও ২৩ জন আহত হয়েছিলেন। ১৯৯৬ সালে তিনি গ্রেফতার হন। তারপর তাকে চারটি যাবজ্জীবন ও এর সঙ্গে ৩০ বছরের সাজা দেয়া হয়।

তিনি ঘরে তৈরি বোমার সাহায্যে বিভিন্ন শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, কম্পিউটার ব্যবসায়ী ও সাধারণ নাগরিকের উপর হামলা চালিয়েছেন। আধুনিক সমাজ ব্যবস্থার পতনকে উসকে দেয়ার লক্ষ্যে এসব হামলা চালানো হয় বলে দাবি তার। 

কেযেন্সকি আধুনিক প্রযুক্তির বিরোধী ছিলেন। নিজের মতাদর্শ প্রচারে বোমা মেরে একটি বাণিজ্যিক বিমান উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টাও করেন তিনি।

কেযেন্সকি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন গণিতবিদ ছিলেন। পরে অবসর গ্রহণ করে মন্টানায় বসবাস শুরু করেন। তার ভাইয়ের স্ত্রী লিন্ডা প্যাট্রিক প্রথম তাকে বোমাবাজ হিসেবে সন্দেহ করেন। তিনি সহায়তা না করলে পুলিশ হয়তো কখনওই এই আনবোম্বারকে ধরতে পারত না।

লিন্ডা এফবিআইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে বোমা হামলায় কেযেন্সকির সম্পৃক্ততার কথা জানান। তারপর ১৯৯৬ সালে তাকে মন্টানার কেবিন থেকে আটক করা হয়। তার কেবিন থেকে একটি বোমা, বোমা তৈরির উপরকণ, ৪০ হাজার পৃষ্ঠার এক পাণ্ডুলিপি উদ্ধার করে এফবিআই। পাণ্ডুলিপিতে বোমার পরীক্ষা ও নিজের অপরাধের বর্ণনা ছিল। 

কেযেন্সকি বেড়ে ওঠা শিকাগোতে। মাত্র ১৬ বছর বয়সে তিনি হার্ভার্ডে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। তিনি মিশিগান, ক্যালিফোর্নিয়া ও বার্কলে ইউনিভার্সিটিতে শিক্ষকতা করেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন