চায়নার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডং জুনের সঙ্গে সাক্ষাতের একদিন পর শনিবার সিঙ্গাপুরে আয়োজিত এক নিরাপত্তা সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
অস্টিন বলেন, ‘এশিয়ায় নিরাপত্তা অ্যামেরিকাকে নিরাপদ করতে পারে। এ কারণে ওয়াশিংটন এ অঞ্চলে উপস্থিতি বজায় রাখছে।’
তিনি বলেন, ‘ইউরোপ ও মধ্যপ্রাচ্যে ঐতিহাসিক সংঘাত সত্ত্বেও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চল আমাদের কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র।’
অ্যামেরিকা এ অঞ্চলে বিশেষ করে ফিলিপিন্সের সঙ্গে জোট ও অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে ইচ্ছুক।
ম্যানিলাও চায়নার ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি ও প্রভাব মোকাবিলা করতে চায়।
আরও পড়ুন: গাজা নিয়ে ভুল প্রতিবেদনের জেরে স্টেইট ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তার পদত্যাগ
ওয়াশিংটন সমর্থিত স্বশাসিত তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং তের শপথ গ্রহণের পর দ্বীপটির আশেপাশে সম্প্রতি চায়নার সামরিক মহড়া চালানোর এক সপ্তাহ পর দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে সংলাপটি অনুষ্ঠিত হলো।
অস্টিন শুক্রবার ডংয়ের সঙ্গে প্রথম মুখোমুখি বৈঠক করেন। এটি ছিল গত ১৮ মাসের মধ্যে দুই প্রতিরক্ষা প্রধানের প্রথম মুখোমুখি বৈঠক।
বৈঠকে উভয়ে তারা আবারও দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংলাপের আশা ব্যক্ত করেন।
বৈঠকের পর অস্টিন জানান, আগামী মাসগুলোতে অ্যামেরিকা ও চায়না সামরিক যোগাযোগ পুনরায় শুরু করবে।
অন্যদিকে, বেইজিং দুই দেশের মধ্যকার স্থিতিশীল নিরাপত্তা সম্পর্কের প্রশংসা করেছে।
শনিবারের বক্তব্যে অস্টিন চায়নাকে ইঙ্গিত করে তাইওয়ানের বিষয়টি তুলে ধরে বলেছেন। তিনি বলেন, কোন দেশের অন্য আরেকটি দেশের সঙ্গে মিলিত হওয়ার বিষয়টি সার্বভৌম ওই রাষ্ট্রের জন্য স্বাধীন পছন্দের বিষয়। এটি কোন একটি দেশের ইচ্ছা চাপিয়ে দেয়া নয় কিংবা গুন্ডামি অথবা জবরদস্তিও নয়।
চায়না তাইওয়ানকে নিজেদের দাবি করে জোর করে দখল করার হুমকি দিয়েছে আসছে।
অন্যদিকে, তাইপের নতুন সরকার অ্যামেরিকার সহযোগিতায় চায়নাকে মোকাবিলা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।