মেক্সিকান ইকোনমি মিনিস্টার মার্সেলো অ্যাব্রাড বলেছেন, ট্রাম্পের এই সিদ্ধান্ত দুই দেশের অটোমোটিভ খাতকে প্রভাবিত করবে। এদিকে বুধবার ডনাল্ড ট্রাম্প এবং শিনবমের মধ্যে এই বিষয়ে ফোন কলে আলোচনা হয়েছে। ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে এই কথোপকথনকে ফলপ্রসূ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
ট্রাম্প তার পোস্টে উল্লেখ করেন অ্যামেরিকা সীমান্তে ফেন্টানলসহ বিভিন্ন মাদক পাচার এবং অবৈধ অভিবাসীদের কঠোরভাবে দমন না করলে মেক্সিকোর ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে মেক্সিকো এই হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামেরিকাকে সতর্ক করে বলে, ট্রাম্পের শুল্কারোপের কারণে ৪০০ হাজার অ্যামেরিকান চাকরি হারাতে পারেন।
পাশাপাশি জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাবে যার সরাসরি প্রভাব পড়বে অ্যামেরিকার ভোক্তাদের ওপর। ট্রাম্পের প্রস্তাবিত শুল্ক নীতি মেক্সিকো, ক্যানাডা এবং অ্যামেরিকার মধ্যে ২০২০ সালে হওয়া বানিজ্য চুক্তি লঙ্ঘন করতে পারে। তিন দেশের মধ্যে হওয়া এই মুক্ত বানিজ্য চুক্তি নিয়ে তাই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
মেক্সিকোর অর্থমন্ত্রী মার্সেলো অ্যাব্রাড সতর্ক করেছেন যে ট্রাম্পের শুল্ক নীতির কারণে বিপাকে পড়তে পারে ফোর্ড, জেনারেল মোটরসের মতো অটোমটিভ রফতানিকারক কোম্পানিগুলো। তিনি জানান, অ্যামেরিকায় বিক্রি হওয়া ৯০ শতাংশ পিকাপ ট্রাক তৈরি হয় মেক্সিকোতে।
অপরদিকে বুধবার শিনবাম ও ট্রাম্পের মধ্যে শুল্ক নীতির বিষয়ে ফোন কলে কথা হয়েছে বলে সামাজিক মাধ্যমে উল্লখ করেন ট্রাম্প। ট্রুথ সোশ্যালে দেয়া এক পোস্টে ট্রাম্প বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের অ্যামেরিকায় প্রবেশ ঠেকাতে দক্ষিণাঞ্চলের সীমান্ত বন্ধে সম্মত হয়েছেন শিনবাম। ট্রাম্প তার পোস্টে এই ফোনালাপকে ফলপ্রসূ হিসেবে উল্লেখ করেন।
শিনবাম এক্সে দেয়া এক পোস্টে ফোনালাপে অভিবাসন প্রত্যাশীদের নিয়ে তার পরিকল্পনার বিষয় তুলে ধরার কথা জানান।