এজুকেশন ডিপার্টমেন্টের একাধিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এনবিসি নিউয জানায়, ডিপার্টমেন্টের প্রায় ১৩’শো কর্মী চাকরি ছাড়ার নোটিশ পেয়েছেন। নোটিশে কর্মীদের কার্যালয়ে এসে সরকারি সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান তারা।
এজুকেশন সেক্রেটারি লিন্ডা ম্যাকম্যান বলেন, ডিপার্টমেন্টকে আরো বেশি তৎপর, আধুনিক, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী বান্ধব হিসেবে ঢেলে সাজাতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
চাকরি ছাড়তে এজুকেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মীরা ৯০ দিন পর্যন্ত সময় পাবেন জানিয়ে ম্যাকম্যান বলেন, চাকরি ছাড়ার পর কর্মীরা আকর্ষণীয় প্যাকেজের মাধ্যমে ক্ষতিপূরণ পাবেন।
ডোজের সাথে এজুকেশন ডিপার্টমেন্টের যৌথ তদন্তে ফেডারেল বরাদ্দ অপচয়ের বিষয়ে অসংখ্য অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে দাবি করেন ম্যাকম্যান। তিনি বলেন, ডিপার্টমেন্টের স্বার্থেই অপচয়ের খাতগুলো বন্ধ করা উচিৎ। প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিশ্রুতি আনুযায়ী এজুকেশন ডিপার্টমেন্ট কাজ করছে বলেও দাবি করেন তিনি। কর্মী ছাঁটাইসহ অন্যান্য উদ্যোগে প্রতিবছর অন্তত ৫০০ মিলিয়ন ডলার খরচ কমানো সম্ভব হবে বলেও জানান সেক্রেটারি।
এদিকে, এজুকেশন ডিপার্টমেন্টের কর্মী ছাঁটাইয়ের উদ্যোগকে ইতিবাচক দাবি করে রিপাবলিকান কংগ্রেসম্যান মার্ক হ্যারিস বলেন, অবশেষে শিক্ষা খাত থেকে জঞ্জাল সরানো হচ্ছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নেতৃত্বে দেশের শিক্ষার্থীরা আবারো সফল হবেন জানিয়ে হ্যারিস বলেন, করোনা মহামারির পর থেকে ফেডারেল বরাদ্দ নেয়া ছাড়া এজুকেশন ডিপার্টমেন্ট কোন কাজ করে নি।
এদিকে, এজুকেশন ডিপার্টমেন্টের কার্যক্রম সীমিত করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন মিযৌরির সেইন্ট লুইস স্কুল বোর্ডের সাবেক কর্মকর্তা ক্রিস গেইনস।
গেইন্স বলেন, টেকনিক্যাল এজুকেশন, স্পেশালাইড এজুকেশনসহ বিশেষায়িত খাতে বরাদ্দ দেয়া ছাড়া ডিপার্টমেন্ট তেমন কিছুই করে না। শিক্ষা খাতে স্টেইট পর্যায়ে ফেডারেল বরাদ্দ বাড়ানোর কথাও জানান তিনি।