আমদানি করা সব যানবাহন ও বিদেশি গাড়ির যন্ত্রাংশের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। এতে অ্যামেরিকান গাড়ি নির্মাতা এবং তাদের বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলোর শেয়ারের ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছে জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলো। তেমনই একটি প্রতিষ্ঠান ভক্সওয়াগন। তাদের অডি এবং পোর্শে ব্র্যান্ডের উৎপাদনে ম্যাক্সিকো জড়িত থাকায় শুল্কের চাপে জর্জরিত তারা। প্রি-মার্কেট ট্রেডিংয়ে ৫.১ শতাংশ কমেছে ভক্সওয়াগনের শেয়ার মূল্য।
মার্সিডিজ-বেঞ্জ, বিএমডব্লিউ এবং ডেইমলার ট্রাক সহ অন্যান্য জার্মান প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম প্রায় ৩.৫ শতাংশ কমেছে। যেখানে যন্ত্রাংশ সরবরাহকারী কন্টিনেন্টালের শেয়ারের দাম কমেছে ২.৯ শতাংশ।
জার্মান অর্থমন্ত্রী রবার্ট হাবেক বলেছেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে অবশ্যই শুল্কের বিষয়ে অ্যামেরিকাকে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে। অ্যামেরিকার সামনে জার্মানি পিছু হটবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এদিকে সাউথ কোরিয়ার শিল্পমন্ত্রী আহন ডুক-গিউনের আশঙ্কা, শুল্ক কার্যকর হলে কোরিয়ার গাড়িশিল্প বিপদের মুখে পড়বে।
গিউন বলেন, ‘আমাদের গাড়ি রপ্তানির প্রায় ৫০ শতাংশ অ্যামেরিকা যায়, তাই অটো শিল্পে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির হতে পারে বলে আশঙ্কা করছি। এটি কেবল গাড়ি নির্মাতাদের জন্যই নয়, বরং যন্ত্রাংশ সরবরাহকারীদের জন্যও বিপদের কারণ।’
শুল্কের প্রভাবে জাপানের হেভিওয়েট গাড়ি নির্মাতারাও আছে উদ্বেগের মাঝে। টয়োটা মোটরের শেয়ারের দাম কমেছে ২.০৪ শতাংশ, হোন্ডা মোটরের শেয়ারের দাম কমেছে ২.৪৮ শতাংশ এছাড়া নিসান মোটরের শেয়ারের দাম কমেছে ১.৬৮ শতাংশ।
ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় বিপদে পড়া প্রতিষ্ঠানের তালিকা থেকে বাদ যায়নি অ্যামেরিকান গাড়ি নির্মাতারাও। তিন দশক ধরে ক্যানাডা থেকে মেক্সিকো পর্যন্ত উৎপাদন কার্যক্রম গড়ে তোলা, জেনারেল মটরস, ফোর্ড, স্টেলান্টিসের মতো অ্যামেরিকান প্রতিষ্ঠানগুলোও আছে দরপতনের মাঝে।