রাশিয়ায় গত মাসে ভাগনার বিদ্রোহের পর পুতিনের প্রথম কোনো আন্তর্জাতিক বৈঠক ছিল এটি। ভারতের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এসসিও সম্মেলনে পুতিন বলেন, ‘রাশিয়া এসব বাহ্যিক নিষেধাজ্ঞা, চাপ ও উস্কানি মোকাবিলা করে নিজেদের বিকাশ অব্যাহত রেখেছে।’
মস্কোর ক্রেমলিন থেকে ভাষণে তিনি বলেন, ‘আমি এসসিও দেশগুলোতে আমার মিত্রদের ধন্যবাদ জানাই যারা সাংবিধানিক শৃঙ্খলা এবং নাগরিকদের জীবন ও নিরাপত্তা রক্ষায় রাশিয়ান নেতৃত্বকে সমর্থন জানিয়েছেন।’
চায়না ও রাশিয়ার মধ্যে ৮০ শতাংশ এরও বেশি বাণিজ্য রুবেল ও ইউয়ানের মাধ্যমে হয়েছে। তিনি অন্যান্য এসসিও সদস্যদেরকেও বাণিজ্যে স্থানীয় মুদ্রা ব্যবহারের আহ্বান জানান।
পরবর্তী সম্মেলনে এসসিওর স্থায়ী সদস্য হওয়ার জন্য রাশিয়ার মিত্র বেলারুশের আবেদনকেও স্বাগত জানান পুতিন।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে বাণিজ্য, সংযোগ এবং প্রযুক্তিগত সহযোগিতা বাড়াতে এসসিও সদস্যদের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে তিনি সরাসরি ইউক্রেইনের যুদ্ধ বা ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চায়নার ক্রমবর্ধমান অবস্থানের কথা উল্লেখ করেননি।
মোদি বলেন, ‘কিছু দেশ তাদের নীতিতে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে, সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দেয়... এসসিও-এর এই ধরনের দেশগুলোর সমালোচনা করতে দ্বিধা করা উচিত নয়।’
অন্যদিকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ বলেন, ‘সন্ত্রাসবাদ, চরমপন্থা ও বিচ্ছিন্নতাবাদ- এ তিনটি অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য এসসিও দেশগুলোকে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।’
এদিকে চায়নার প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্বের কথা উল্লেখ করেন। তিনি এসসিও সদস্যদের সঠিক দিক অনুসরণ করতে এবং তাদের সংহতি ও পারস্পরিক আস্থা বাড়ানোর আহ্বান জানান।
চায়না, রাশিয়া এবং মধ্য এশিয়ার চারটি দেশ তাদের অঞ্চলে পশ্চিমাদের প্রভাব সীমিত করার পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবে ২০০১ সালে এসসিও গঠন করে। ভারত ও পাকিস্তান এতে ২০১৭ সালে যোগ দেয়।