প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে ‘ডিপফেইক’ কনটেন্ট তৈরি করে চায়না ও ইরান

টিবিএন ডেস্ক

মে ১৫ ২০২৪, ১২:১৮

এনএসএ হেডকোয়ার্টার। ছবি: সংগৃহীত

এনএসএ হেডকোয়ার্টার। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে প্রচারের শেষ সপ্তাহগুলোতে অ্যামেরিকান ভোটারদের প্রভাবিত করতে চায়না ও ইরান সরকারের পক্ষে তার অপারেটিভরা এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডিপফেইক অডিও এবং ভিডিও কনটেন্ট প্রস্তুত করে।

ন্যাশনাল সিকিউরিটি এজেন্সির (এনএসএ) গোয়েন্দাদের কাছে এ বিষয়ে দেয়া প্রশাসনের বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তাদের বিবৃতির ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট সূত্র সিএনএনকে এ তথ্য জানায়।

সূত্র জানায়, এনএসএ ইতোমধ্যে এমন গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করেছে যা অ্যামেরিকান কর্মকর্তাদের চায়না ও ইরানের ডিপফেক তৈরির ক্ষমতা সম্পর্কে অবহিত করে।

চায়না ও ইরানের অপারেটিভরা কখনই ডিপফেক অডিও বা ভিডিও প্রকাশ্যে প্রচার করেনি।

তবে, পূর্বে অপ্রকাশিত গোয়েন্দা তথ্য দেখায় যে অ্যামেরিকান কর্মকর্তারা চার বছর আগে ভোটিং প্রক্রিয়া সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য প্রচার করার জন্য ওই সময় বিদেশি শক্তির প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

সূত্রের মতে, ২০২০ সালে চাইনিজ ও ইরানি অপারেটিভরা যে ডিপফেইক কনটেন্টগুলো প্রস্তুত করে তাতে আসলে কী ছিল বা কেন শেষ পর্যন্ত সেই নির্বাচনের সময় সেগুলো ছড়িয়ে দেয়া হয়নি তা স্পষ্ট নয়।

ওই সময়ে ডিপফেইক কনটেন্ট পর্যালোচনা করা একজন সাবেক কর্মকর্তা বলেছেন, তার বিশ্বাস চায়না ও ইরানের এমনভাবে ডিপফেইক স্থাপন করার ক্ষমতার অভাব রয়েছে যা ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে গুরুতরভাবে প্রভাবিত করবে।

তিনি বলেন, ‘প্রভাব বিস্তার করতে প্রযুক্তি ভালো মানের হতে হবে; আমি মনে করি না যে ওইগুলো ভাল ছিল। দ্বিতীয়ত, আপনাকে ঝুঁকি নেয়ার ইচ্ছা থাকতে হবে। যা চায়নার না থাকলেও সম্ভবত ইরানের আছে।’

বর্তমানে ডিপফেইক অডিও ও ভিডিও তৈরি করা অনেক সহজ এবং প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের মাত্র ছয় মাস বাকি থাকায় প্রশাসনের কর্মকর্তারা কীভাবে একটি বিদেশি শক্তি ভোটারদের বিভ্রান্ত করার জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগাতে পারে তা নিয়ে আরও উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠেছেন।

আরও পড়ুন: ট্রাম্পের জন্য বারবার মিথ্যার আশ্রয় নিয়েছেন কোহেন

এআই প্রযুক্তি গত চার বছরে নাটকীয়ভাবে উন্নত হওয়ায় নভেম্বরের নির্বাচনে হুমকির সম্ভাবনায় এনএসএ বিদেশি প্রতিপক্ষদের সম্পর্কে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ অব্যাহত রেখেছে যারা ডিপফেইক তৈরি করছে।

এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও এখন পর্যন্ত তাতে সাড়া দেয়নি এনএসএ।

২০২৪ সালের নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য গত ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউয সিচুয়েশন রুমে এক বৈঠকে কর্মকর্তারা এমন একটি পরিস্থিতিতে কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাতে হয় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

২০২০ সালের নির্বাচনের পর থেকে চায়না, ইরান এবং রাশিয়াসহ বেশ কিছু দেশ ডিপফেইক তৈরিতে উচ্চমানের দক্ষতা দেখিয়েছে।

তবে, তাদের জন্য সেসব কনটেন্ট অ্যামেরিকার অভ্যন্তরে ব্যবহার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ বলে দাবি করেছেন সাবেক ওই কর্মকর্তা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন