উইসকনসিনের মিলওয়াউকিতে ওয়েস্ট অ্যালিস সেন্ট্রাল হাই স্কুলে মঙ্গলবার তার প্রথম প্রচারণামূলক সমাবেশে হ্যারিস বলেন, ‘এই প্রচারাভিযানে আমি আপনাদেরকে প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি যে আমি তার সঙ্গে গর্বের সঙ্গেই লড়াই করে যাব।’
উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি এই সময় প্রশ্ন করেন, ‘আমরা কি স্বাধীনতা, সহানুভূতি, আইনের শাসনের মধ্যে থাকতে চাই নাকি বিশৃঙ্খলা, ভয় ও ঘৃণার দেশে বাস করতে চাই?’
রোববার বাইডেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করার পর সোমবার ও মঙ্গলবার করা রয়টার্সের একটি জনমত জরিপে দেখা গেছে নিবন্ধিত ভোটারদের মধ্যে হ্যারিসের প্রতি সমর্থন রয়েছে ৪৪ শতাংশ ভোটারের এবং ট্রাম্পকে সমর্থন করেন ৪২ শতাংশ ভোটার।
এর এক সপ্তাহ আগের জরিপে দেখা গিয়েছিল ট্রাম্প ও হ্যারিস উভয়ই নিবন্ধিত ভোটারদের ৪৪ শতাংশের সমর্থন পেয়েছেন এবং চলতি মাসের শুরুতে করা একটি জরিপে হ্যারিসের চেয়ে সামান্য কিছুটা এগিয়ে ছিলেন ট্রাম্প।
৮১ বছর বয়সী বাইডেন তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নেয়ার পর দ্রুতই দলের সবার সমর্থন পেয়ে যান হ্যারিস। দ্বিতীয় মেয়াদে ট্রাম্পের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনায় দুশ্চিন্তায় থাকা ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধিদের অনেকেই সোমবার রাতে হ্যারিসের প্রতি তাদের সমর্থন জানিয়েছেন। এই প্রতিনিধিরাই পরবর্তী মাসে আসন্ন পার্টি কনভেনশনে দলটির প্রেসিডেন্ট প্রার্থী চূড়ান্ত করবেন।
ডেমোক্র্যাটিক আইনপ্রণেতাদের বেশিরভাগই প্রার্থী হিসেবে হ্যারিসকে পছন্দ করেন। মঙ্গলবারে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তার প্রতি আনুষ্ঠানিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন সেনেট ও হাউযে দলটির নেতা চাক শুমার এবং হাকিম জেফ্রিসও।