এবিসি নিউজ জানায়, চায়নার ‘তাইওয়ান’ বিষয়ক কার্যালয় বুধবার এক বিবৃতিতে এ প্রতিক্রিয়া দিয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, এই সামরিক সহায়তা চায়নার প্রতি অ্যামেরিকার প্রতিশ্রুতি ‘গুরুতরভাবে লঙ্ঘন’ করে এবং তাইওয়ানের স্বাধীনতাকামী বিচ্ছিন্নতাবাদী শক্তির কাছে একটি ভুল সংকেত পাঠায়।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চায়নার প্রভাব সীমিত রাখতে এবং তাইওয়ানকে চায়নার অধিগ্রহণ হতে রক্ষা করতে দেশটিকে ৮ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়া হবে।
চায়না তাইওয়ানকে নিজের এলাকা বলে দাবি করে এবং বেশ কয়েকবার প্রয়োজনে জোর করে দখল করার হুমকি দিয়েছে।
অ্যামেরিকার সহায়তা প্যাকেজ পাসের পর বুধবার চায়নার ‘তাইওয়ান’ বিষয়ক কার্যালয়ের মুখপাত্র জু ফেংলিয়ান তার প্রতিক্রিয়ায় বলেছেন, “তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন স্বাধীনতাপন্থি ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি চায়নাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাইরের শক্তির ‘দাবার গুটি’ হতে ইচ্ছুক, যা তাইওয়ানকে একটি বিপজ্জনক পরিস্থিতিতে নিয়ে আসছে।”
সহায়তা প্যাকেজটির তহবিল তাইওয়ানের সামরিক ব্যবস্থা সচল রাখা এবং উন্নত করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে।
এ ছাড়া তাইওয়ান ইতোমধ্যে অ্যামেরিকার সঙ্গে সবচেয়ে অত্যাধুনিক প্রজন্মের এফ-সিক্সটিনভি ফাইটার জেট, এমওয়ান অ্যাব্রামস যুদ্ধ ট্যাঙ্ক ও হিমারাস রকেট সিস্টেমের জন্য বিলিয়ন ডলার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।
মঙ্গলবার তাইওয়ানের প্রেসিডেন্ট লাই চিং-তে দেশটিতে সফররত কংগ্রেসের একটি প্রতিনিধিদলকে বলেছেন, ‘এই সহায়তা প্যাকেজ পশ্চিম প্যাসিফিক অঞ্চলে কর্তৃত্ববাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকে শক্তিশালী করবে, তাইওয়ান প্রণালী জুড়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে এবং তাইওয়ানের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।’
অ্যামেরিকান সহায়তা বিল পাসের পর মঙ্গলবার বিকেল থেকে বুধবার সকালের মধ্যে তাইওয়ানের আশেপাশের এলাকায় চায়নার দুটি পিপলস লিবারেশন আর্মি এয়ার ফোর্সের বিমান এবং সাতটি নৌবাহিনীর জাহাজকে কাজ করতে দেখা গেছে।