গালফ অফ মেক্সিকোকে গালফ অফ অ্যামেরিকা করার যে অনানুষ্ঠানিক প্রস্তাব প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্প দিয়েছেন, তার কড়া জবাব দিয়েছেন মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লডিয়া শেইনবম।
শেইনবম বলেন, ‘জাতিসংঘ গালফ অফ মেক্সিকো নামটির স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা ইউনাইটেড স্টেইটসকে কেন মেক্সিকান অ্যামেরিকা বলি না। এটা শুনতেও তো ভালোই লাগে। যাই হোক ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়া পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। আন্তর্জাতিক আইন বলেও কিছু আছে। আমি মনে করি, ট্রাম্পের সাথেও আমাদের ভালো সম্পর্ক থাকবে। আমি এমনটা মনে করি কারণ আমাদের আগের প্রেসিডেন্টের সাথেও ট্রাম্পের সম্পর্ক বেশ ভালো ছিল।’
তিনি মনে করিয়ে দেন, ১৬০৭ সালে গালফ অফ মেক্সিকোর নামকরণ করা হয় এবং ৪০০ বছরের বেশি সময় ধরে এই নামটি টিকে আছে।
মেক্সিকো মাদক ব্যবসায়ীদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, ট্রাম্পের এমন মন্তব্যের জবাব দিতেও ভোলেননি, প্রেসিডেন্ট শেইনবম।
শেইনবম বলেন, ‘ডনাল্ড ট্রাম্পের সাথে আমাদের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে মেক্সিকো মাদক চোরাকারবারীদের নিয়ন্ত্রণে, ট্রাম্পের এই অভিযোগ অত্যন্ত আপত্তিকর। এই ধরণের অভিযোগ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
শেইনবম মনে করেন, কেউ ভুল তথ্য দেয়ায় এমন অভিযোগ করেছেন অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট।
শেইনবম আরও বলেন, ‘অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের প্রতি সম্মান রেখেই বলতে চাই, কালকে হয়তো তাকে কিছু ভুল তথ্য দেয়া হয়েছিলো। ট্রাম্পকে হয়তো বলা হয়েছিলো, ফিলিপ কালডেরন এবং গারসিয়া লুনা এখনো মেক্সিকো শাসন করেন। তবে আমি তাকে জানাতে চাই যে মেক্সিকো এখন একজন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট শাসন করেন।’
এসময় অ্যামেরিকা থেকে মেক্সিকোতে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করে এমন অভিযোগ তুলে শেইনবম বলেন, ‘আমি নিশ্চিত আমাদের সাথে ডনাল্ড ট্রাম্পের ভালো বোঝাপড়া তৈরি হবে। বিশেষ করে মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো মোকাবেলায় একসাথে কাজ করার আশা করছি আমি। অ্যামেরিকা থেকে আমাদের দেশে যে অবৈধ অস্ত্র প্রবেশ করে, আশা করি তাও অনেকটা কমে আসেব।’
তিনি মনে করেন, অ্যামেরিকার সাথে বিভিন্ন বিষয়ে যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেক্সিকোর রয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন সেই বিষয়ে বিশেষ যত্নশীল হবে।