৮০ বছর পর অ্যামেরিকায় ফিরল নিহত যোদ্ধার দেহাবশেষ

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ৮ ২০২৩, ২২:১৭

অ্যান্থোনি ডি পেটা। ছবি: ডিপিএএ

অ্যান্থোনি ডি পেটা। ছবি: ডিপিএএ

  • 0

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে প্রাণ দেয়া অ্যান্থোনি ডি পেটা নামে এক নাবিকের দেহাবশেষ প্রায় ৮০ বছর পর অ্যামেরিকায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্সের একটি এজেন্সি।

ডিফেন্স পিওডব্লিউ/এমআইএ অ্যাকাউন্টিং এজেন্সির (ডিপিএএ) তথ্য অনুযায়ী, মৃত্যুর সময় পেটার বয়স ছিল ২৪। নিউ জার্সির অধিবাসী এ যোদ্ধার জন্ম ইটালিতে। ১৯২১ সালের দিকে তিনি অ্যামেরিকায় পাড়ি জমান। ১৯৪০ সাল থেকে তিনি অ্যামেরিকার নৌবাহিনীতে কাজ শুরু করেন।

ওয়ার্ল্ড ওয়ার টু-তে ইউএস নেভির অ্যাভিয়েশন অর্ডন্যান্সম্যান হিসেবে কাজ করতেন তিনি। ১৯৪৪ সালের সেপ্টেম্বরে ডি পেটা এবং অন্য দুই ক্রু সদস্য পালাউ দ্বীপপুঞ্জে জাপান বাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালানোর মিশনে ছিলেন। জাপানিজ বাহিনী তাদের বিমানটিকে গুলি করে ভূপতিত করলে সেটি মালাকাল হারবারে বিধ্বস্ত হয়।

একাধিক প্রচেষ্টার পরও বিধ্বস্ত বিমানটিকে খুঁজে না পাওয়া গেলে পেটাকে ১৯৪৯ সালের জুলাই নিখোঁজ ঘোষণা করা হয়।

প্রজেক্ট রিকভার (বেন্টপ্রপ প্রজেক্ট) ও ডিপিএএ-র যৌথ তদন্তে শেষ পর্যন্ত ক্র্যাশ সাইটটি শনাক্ত করা হয়। বিমানটি শনাক্ত করতে ১১২ ফুট গভীর পর্যন্ত মোট ১৪টি ডাইভ দেয়া হয়েছিল। ২০২১ সালের অগাস্টে অলাভজনক সংস্থাটি সাইট থেকে বহু নিখোঁজ যোদ্ধার দেহাবশেষ উদ্ধার করে, যার মধ্যে ছিল ডি পেটার দেহাবশেষ।

উদ্ধারের পর দেহাবশেষগুলো হাওয়াইয়ের ডিপিএএ জয়েন্ট বেস পার্ল হারবার-হিকামের পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়। জানুয়ারিতে ডেন্টাল অ্যানালাইসিসের মাধ্যমে চিহ্নিত করা হয় ডি পেটাকে। অন্যদিকে আর্মড ফোর্সেস মেডিক্যাল এক্সামিনার সিস্টেমের বিজ্ঞানীরা তার মাইটোকন্ড্রিয়াল ডিএনএ বিশ্লেষণ করেছেন।

ছবি: সিএনএন

ডি পেটার দেহাবশেষ শুক্রবার বিকেলে নিউ ইয়র্কের লাগার্ডিয়া বিমানবন্দরে পৌঁছে। একটি অ্যামেরিকান পতাকা মোড়ানো কফিনে ছিল দেহাবশেষ। মানুষ মাথা নিচু করে তাকে সম্মান জানান।

পেটাকে ১১ জুলাই নিউ জার্সির রাইটসটাউনে সমাহিত করা হবে।


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...