বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে বুধবার সৌজন্য সাক্ষাত শেষে এসব কথা বলেন ডনাল্ড লু। এর আগে পরিবেশমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে তার।
লু বলেন, ‘বাংলাদেশ ও অ্যামেরিকার মধ্যে অনেক কঠিন ইস্যু আছে। যেমন, র্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা, শ্রম অধিকার, মানবাধিকার, ব্যবসায়িক পরিবেশ সংস্কারসহ অন্যান্য ইস্যু। আমি আজ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে কথা বলেছি, দুই দেশের কঠিন বিষয়গুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করব। কিন্তু তার আগে দুই দেশের জন্য ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করতে চায় অ্যামেরিকা।’
তিনি যোগ করেন, ‘কঠিন বিষয়গুলো আলোচনা করতে দুই দেশের জন্য ইতিবাচক বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের সহযোগিতা দরকার। আমরা এখানে নতুন বিনিয়োগের কথা বলছি। অ্যামেরিকায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার সুযোগ, পরিচ্ছন্ন জ্বালানিসহ অন্যান্য বিষয় আছে।’
লু আরও বলেন, ‘আমি দুই দিনের সফরে ঢাকায় আছি। দুই দেশের জনগণের মধ্যে নতুন করে আস্থার জায়গা তৈরি করার জন্য। আমরা জানি গত বছর অ্যামেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে অনেক টেনশন কাজ করেছে। বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচনের জন্য অ্যামেরিকা অনেক পরিশ্রম করেছে। এর ফলে কিছুটা টেনশন তৈরি হয়েছিল।’
তিনি বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে দুর্নীতি প্রতিরোধের বিষয়ে আলোচনা করেছেন তিনি। তারা একসঙ্গে সরকারের স্বচ্ছতা নিয়ে কাজ করতে এবং এর মাধ্যমে যেসব কর্মকর্তা দুর্নীতি করেছে তাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে চান।