ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পরিবর্তে আরো কঠোর হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপিয়ান নেতারা। যুদ্ধের পর ইউক্রেইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে, বাহিনী পাঠানোর পরিকল্পনা করছে বৃটেইন ও ফ্রান্স।
বৃহস্পতিবার ইউরোপিয়ান মিত্রদের সঙ্গে প্যারিসে বৈঠকের পর বৃটেইনের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টার্মার জানান, রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়ানোর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হবে।
বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী জানান, প্রতিরোধ যুদ্ধে ইউক্রেইনের জন্য সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি রাশিয়ার উপর অর্থনৈতিক চাপ বাড়াবে ইউরোপিয়ান মিত্ররা।
ইউরোপিয়ান কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েন বলেন, প্যারিস সম্মেলনের পর, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় মিত্রদের ইচ্ছাশক্তি আরো তীব্র হয়েছে।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ মনে করেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময় এখনো আসেনি। তিনি বলেন, ‘ইউক্রেইনের জন্য সহায়তার ক্ষেত্রে আমরা সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে, রাশিয়ার ওপর যে কোনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার সময় এটি নয় এবং শান্তি স্পষ্টভাবে প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা ঠিক হবেনা। একারণে আমরা অর্থনৈতিক চাপ অব্যাহত রাখার পরিকল্পনা করছি।‘
প্যারিস সম্মেলনের পর পোল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ডনাল্ড টাস্ক বলেন, রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে নীতি ও কৌশলগতভাবে ইউরোপিয়ান মিত্রদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার ওপর চাপ বাড়াতে আমরা বুদাপেস্টের ওপর নির্ভর করতে পারিনা। পুরো পরিস্থিতি কারোই অজানা নয়। তাই অন্যান্য বিষয়ে মধ্যে, আমি এমন উপায় ও পদ্ধতিগুলো অনুসন্ধান করার প্রয়োজনীয়তা উত্থাপন করেছি, যা রাশিয়ার প্রতি একটি ঐক্যবদ্ধ নীতির অনুমতি দেবে। এমনকি হাঙ্গেরি এতে আগ্রহী না হলেও।‘
এদিকে, আর্কটিক অঞ্চলে আরো সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাশিয়া। বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভলাদিমির পুতিন এই ঘোষণা দিয়ে বলেন, রাশিয়ার এই অঞ্চলে নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করবে।