সিডনির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয় ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরু থেকেই সকারুজদের ওপর আক্রমণাত্মক হয়ে খেলতে থাকে থ্রি লায়ন্সরা।
ম্যাচের ৩৬ মিনিটে এল্লা টুনির গোলে এগিয়ে যায় ইংলিশ নারীরা। বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত কোনোকুনি শটে অজি গোলরক্ষকের নাগালের বাইরে দিয়ে বল জালে জড়ান টুনি। ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড।
পিছিয়ে পড়া অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয়ার্ধে ম্যাচ সমতায় ফেরাতে মরিয়া হয়ে ওঠে। ফলাফল পেতেও দেরি হয়নি। ম্যাচের ৬৩ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে অজিদের সমতায় ফেরান স্ট্রাইকার সামান্থা কার।
তবে এরপর পুরো মাঠ জুড়ে ইংলিশ নারীদের আধিপত্য দেখা যায়। ম্যাচের ৭১ মিনিটে লউরেন হেম্পের গোলে আবারও লিড নেয় ইংলিশরা।
এরপর আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। বিপরীতে ম্যাচের ৮৬ মিনিটে থ্রি লায়ন্সদের হয়ে তৃতীয় গোল করেন অ্যালেসিয়া রুশো। আর তাতেই শেষ হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়ানদের ফাইনাল খেলার স্বপ্ন।
১৯৬৬ সালে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের বিশ্বকাপ জয়ের পর লায়নেসেসরা প্রথম কোনো সিনিয়র ইংলিশ ফুটবল টিম হিসেবে ওয়ার্ল্ডকাপ মঞ্চের ফাইনালে পৌঁছাল। এর আগে দুটি বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে হেরে বিদায় নেয়ার কষ্টে পুড়তে হয়েছিল তাদের।