এ দুর্ঘটনায় কোনো বাংলাদেশি নাগরিক প্রাণ হারিয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করতে পারেনি কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাই কমিশন।
কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস বলেন, ‘এ পর্যন্ত চারজন ফোন করে জানিয়েছেন তাদের নিকট আত্মীয় ওই ট্রেনে ছিলেন। তবে এখনও আমরা তাদের কোনো খোঁজ পাইনি। তাদের নিখোঁজ তালিকায় রাখা হয়েছে।’
তিনি জানান, হাই কমিশন থেকে একটি দল নিখোঁজ বাংলাদেশিদের বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে রওনা করেছে।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই ট্রেন দুর্ঘটনায় বিপুল হতাহতের ঘটনায় শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
ওডিশায় ভয়াবহ ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ২৬১ ছাড়িয়েছে, আহত হয়েছে অন্তত ৯০০ যাত্রী। ওডিশার বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
দুর্ঘটনায় দুমড়ে যাওয়া বগির নিচে জীবিত আর কোনো যাত্রী না থাকায় উদ্ধার কাজ শেষ করার ঘোষণা দিয়েছে রেস্কিউ টিম।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, চেন্নাইয়ের পথে থাকা করম্যান্ডেল এক্সপ্রেস ট্রেন বালেশ্বর জেলার বাহাঙ্গাবাজার স্টেশনের কাছে একটি মালবাহী ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষের পর লাইনচ্যুত হয়ে পাশের রেল ট্র্যাকে আছড়ে পড়ে উল্টে যায়।
এরপর ওই এলাকা পেরুনো কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে আসা যাত্রীবাহী ব্যাঙ্গালুরু-হাওড়া এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে লাইনচ্যুত ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
হিন্দুস্তান টাইমস জানিয়েছে, দুই যাত্রীবাহী ট্রেনের ১০ থেকে ১২টি বগির সংঘর্ষে অন্তত ২৬১ যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন ৯শর বেশি যাত্রী।