বিবিসি তাদের এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সোমবার অ্যামেরিকান স্টেইট ডিপার্টমেন্টের এক সংবাদ সম্মেলনে মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেন, ‘সুযোগের জানালা অবশ্যই খোলা রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, অ্যামেরিকা বিশ্বাস করে যে সামরিক জান্তার পদত্যাগ করা উচিত এবং প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে তার দায়িত্বে পুনর্বহাল করা উচিত।
অ্যামেরিকার শীর্ষ কূটনীতিক সেক্রেটারি অফ স্টেইট অ্যান্টনি ব্লিনকেন বিবিসি নিউজকে বলেন, নাইজারের সংকট মোকাবেলায় ওয়াশিংটনের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে।
ব্লিনকেন বলেন, ‘সাংবিধানিক শৃঙ্খলা পুনরুদ্ধার করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই মুহূর্তে আমি মনে করি ইকোওয়াস দেশকে সেই দিকে ফিরিয়ে আনতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নও বলছে, নাইজারে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে পুনরুদ্ধার করার সুযোগ রয়ে গেছে।
ইকোনমিক কমিউনিটি অফ ইস্ট আফ্রিকান স্টেইটসের (ইকোওয়াস) বৃহস্পতিবারের শীর্ষ সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে ইইউর এক মুখপাত্র বলেন, ‘ইইউ এখনও মনে করে, ১০ আগস্ট পর্যন্ত মধ্যস্থতার সুযোগ রয়েছে।’
নাইজারের অভ্যুত্থানের পর সামরিক সরকারের প্রতিবাদে গণতান্ত্রিক সরকার প্রধান মোহাম্মদ বাজুমকে সমর্থন করে দেশটিতে কিছু বৈদেশিক সহায়তা কর্মসূচি স্থগিত করছে ওয়াশিংটন।
এর আগে নাইজারে প্রেসিডেন্সিয়াল গার্ডের অভ্যুত্থানে জড়িত নেতারা দেশটিতে বিদেশি সামরিক অভিযানের আশংকায় আকাশসীমা বন্ধ রাখার ঘোষণা দেন।