গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তির আশা

টিবিএন ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৮ ২০২৪, ১১:৩৪

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সব পক্ষ সম্মত হওয়ার আশা অ্যামেরিকার। ছবি: সংগৃহীত

যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সব পক্ষ সম্মত হওয়ার আশা অ্যামেরিকার। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

গাজায় যুদ্ধবিরতির বিষয়ে সব পক্ষ সম্মতিতে পৌঁছাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে বাইডেন সরকার।

এক সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তারা বিষয়টি নিয়ে সতর্কতার সঙ্গে আশাবাদী। এদিকে, গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা করতে বুধবার কাতার যাচ্ছেন সিআইএ প্রধান বিল বার্নস।

নতুন কোনো শর্ত না দিলে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে চলমান আলোচনা থেকেই একটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে হামাস। আর ইযরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইযরায়েল ক্যাটজ বলেছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তির খুব কাছাকাছি রয়েছে তার দেশ।

গত বছরের ৭ অক্টোবর গাজায় ইযরায়েলি বাহিনীর হামলা শুরুর পর যুদ্ধ বন্ধে বহুবার আলোচনা হলেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি দেখা যায়নি। কাতার, ইজিপ্ট, অ্যামেরিকাসহ বিভিন্ন দেশ এ আলোচনায় অংশ নিলেও যুদ্ধ বন্ধে কোনো সমঝোতায় পৌঁছাতে পারেনি ইযরায়েল ও হামাস।

তবে এবার যুদ্ধবিরতির খুব কাছাকাছি অবস্থানে আছেন বলেই মন্তব্য করেছেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক হামাসের এক নেতা। ইযরায়েল নতুন কোনো শর্ত আরোপ না করলে যুদ্ধবিরতির চুক্তির বিষয়ে হামাস আশাবাদী বলে জানান তিনি।

অন্যদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির বিষয়ে আশা প্রকাশ করেছে ইযরায়েলও। এবারের আলোচনায় যে অগগ্রতি হয়েছে তা আগে কখনোই হয়নি বলে জানান দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইযরায়েল ক্যাটয।

তবে যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আশাবাদী হলেও তা সতর্কতার সঙ্গেই বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে অ্যামেরিকা। স্টেইট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, তারা ভালো কিছু আশা করলেও বাস্তবতার কারণে সব ভেস্তে যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। তবে, অনেক দিক বিবেচনা করলে এবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি হওয়ার জোর সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান মিলার।

এদিকে, যুদ্ধবিরতি নিয়ে এত আশাজনক কথাবার্তার মধ্যেই গাজায় ইযরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে। অবরুদ্ধ উপত্যকাটিতে ইযরায়েলি বাহিনীর হামলায় গত ১৪ মাসে নিহতের সংখ্যা ৪৫ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। প্রকৃত মৃতের সংখ্যা তার চাইতে অনেক বেশি বলেই দাবি করেছে প্যালেস্টিনিয়ান এনজিও নেটওয়ার্ক।

খান ইউনিসের একটি স্কুলে সোমবার রাতে বাস্তুচ্যুত শরণার্থীদের লক্ষ্য করে হামলা চালায় ইযরায়েল। এতে ওই ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। সেসময় সেখানে থাকা ঘুমন্ত শিশুসহ বেশ কয়েকজন প্রাণ হারায়। মুহূর্তেই সেখানে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। দ্বিগ্বিদিক ছুটোছুটি করে প্রিয়জনকে উদ্ধারের চেষ্টা চালায় সেখানকার বাসিন্দারা।

জাতিসংঘ ঘোষিত শরণার্থী কেন্দ্র, স্কুল, হাসপাতাল, আবাসিক ভবনসহ গাজার প্রায় সব জায়গাতেই হামলা চালিয়ে যাচ্ছে আইডিএফ। খান ইউনিস, বাইত লাহিয়াসহ বিভিন্ন জায়গায় শরণার্থী কেন্দ্রে চালানো এসব হামলায় গত কয়েকদিনে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছে। এমনকি গাজার অন্যতম হাসপাতাল কামাল আদওয়ানের আইসিইউতেও হামলা চালিয়েছে ইযরায়েলি সেনারা।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন