শেখ হাসিনা ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট স্থানীয় সময় শুক্রবার বেলা ৩টা ৩৫ মিনিটে ওয়াশিংটন ডিসির ডালাস ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে অবতরণ করে।

বাসস জানায়, বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানান অ্যামেরিকায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মুহাম্মদ ইমরান এবং বিশ্বব্যাংকের বিকল্প নির্বাহী পরিচালক ড. আহমেদ কায়কাউস।

অ্যামেরিকান সরকারের সিনিয়র কর্মকর্তারাও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

ওয়াশিংটন ডিসিতে সাত দিনের সফর শেষ করে শেখ হাসিনা ব্রিটেইন ও কমনওয়েলথ স্টেইটের রাজা ও রানী হিসেবে তৃতীয় চার্লস ও তার স্ত্রী ক্যামিলার রাজ্যাভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ৪ মে লন্ডনের উদ্দেশে অ্যামেরিকা ত্যাগ করবেন।

এর আগে গত ২৫ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাপান সফরে যান। জাপানে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে লাল গালিচা সংবর্ধনা জানানো হয়। 

শেখ হাসিনার জাপান সফরে ঢাকা ও টোকির মধ্যে কৃষি, মেট্রো রেল, শিল্প উন্নয়ন, জাহাজ রিসাইক্লিং, শুল্ক সংক্রান্ত বিষয়, মেধা সম্পদ, প্রতিরক্ষা সহযোগিতা, আইসিটি ও সাইবার নিরাপত্তা সহযোগিতাসহ আটটি চুক্তি সই হয়। শেখ হাসিনা ২৬ এপ্রিল জাপানের সম্রাট নারুহিতোর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।

একই দিনে তিনি চুক্তি স্বাক্ষরের পর জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরদিন ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য চার জন জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ডস অফ লিবারেশন ওয়ার অনার’ প্রদানের পাশাপাশি একটি বিনিয়োগ শীর্ষ সম্মেলন ও একটি সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

টোকিও সফরে শেখ হাসিনা জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়োশিমাসা হায়াশির সঙ্গে বৈঠক এবং জাইকা, জেট্রো, জেইবিআইসি, জেবিপিএফএল ও জেবিসিসিইসি নেতাদের সঙ্গে আলোচনাসহ একাধিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে যোগ দেন।

শেখ হাসিনা জাপানের প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের স্ত্রী আকি আবে এবং জাপানি স্থপতি তাদাও আন্দোর সঙ্গেও বৈঠক করেন।

বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী আবদুর রাজ্জাক, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকসহ উচ্চ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তারা জাপান সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৯ মে লন্ডন থেকে ঢাকা ফেরার কথা রয়েছে।