নিরাপত্তা সহায়তার অংশ হিসেবে দেয়া এই প্যাকেজের মধ্যে থাকছে ডিফেন্স আর্টিকেলস, সামরিক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ।
হোয়াইট হাউযের ঘোষণায় অস্ত্র বা সরঞ্জাম সরবরাহ নিয়ে বিশদ বিবরণ দেয়া হয়নি। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তাদের বরাতে মিডিয়া আউটলেটগুলো বলেছে, এগুলোর মধ্যে থাকবে বহনযোগ্য বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, ছোট অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং অন্যান্য সরঞ্জাম।
ইউএস-এর ঘোষণার পরপরই কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে চায়না। এক বিবৃতিতে ওয়াশিংটনে চায়না দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেংইউ বলেন, ‘অ্যামেরিকার উচিত তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রি বন্ধ করা এবং এমন নতুন কোনো ইস্যু তৈরি না করা যাতে তাইওয়ান বিষয়ে জল ঘোলা হয়।’
আনুষ্ঠানিকভাবে তাইওয়ানকে স্বীকৃতি দেয় না অ্যামেরিকা; তবে তারা দ্বীপটির প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করার চেষ্টা করছে। বহুদিন ধরে দ্বীপটিকে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে চায়না।
এ মাসের শুরুর দিকে চায়না এ বছরে দ্বিতীয়বারের মতো তাইওয়ানের চারপাশে বিশাল সামরিক মহড়া চালায়। তাইওয়ানের উপকূলরেখার কাছাকাছি কয়েক ডজন যুদ্ধজাহাজ এবং বিমান পাঠায়।
ওয়াশিংটন সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তাইপেইয়ের (তাইওয়ানের রাজধানী) জন্য বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা অনুমোদন দিয়েছে, যার মধ্যে ২০২৬ সালের মধ্যে ৬৬টি এফ-সিক্সটিন যুদ্ধবিমান সরবরাহের জন্য আট বিলিয়ন ডলারের চুক্তি রয়েছে।
তাইওয়ানের প্রতি বাইডেনের সমর্থন ওয়াশিংটন ও বেইজিংয়ের মধ্যে সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। চায়না বলছে, অ্যামেরিকা দ্বীপটিকে ‘পাউডার কেগ’-এ পরিণত করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে উঠেছে।
কয়েক দিন আগে ৮০০ মিলিয়ন ডলারের যুদ্ধ সহায়তা প্যাকেজের অংশ হিসেবে ইউক্রেইনকে ক্লাস্টার বোমা পাঠায় অ্যামেরিকা।