অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনের পক্ষে থাকলে ভিসা নীতিতে ভয় নেই: হাস

টিবিএন ডেস্ক

মে ৩০ ২০২৩, ২২:০৫

ঢাকায় বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে  বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডর পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

ঢাকায় বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডর পিটার হাস। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ঢাকায় অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডর পিটার হাস বলেছেন, বাংলাদেশের জন্য নতুন অ্যামেরিকান ভিসা নীতি সবার জন্য প্রযোজ্য এবং এটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিতে সবাইকে সঠিক আচরণ করতে উৎসাহিত করবে। যারা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনকে সমর্থন করেন, এই ভিসা নীতিতে তাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলমের সঙ্গে এক বিশেষ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এ মন্তব্য করেন

বাংলাদেশিদের জন্য গত সপ্তাহে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে ওয়াশিংটন। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো বাংলাদেশিকে ভিসা দেবে না অ্যামেরিকা। 

ঢাকায় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় হাস বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, আর অ্যামেরিকাও তাই চায়। (বাংলাদেশের) প্রধানমন্ত্রী (শেখ হাসিনা) তার প্রতিশ্রুতি (অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান) স্পষ্ট করেছেন এবং (বাংলাদেশের) পররাষ্ট্রমন্ত্রীও সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন এবং আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকদের নির্বাচন দেখার জন্য স্বাগত জানিয়েছেন। সুতরাং, আমি কোনো মতবিরোধ দেখছি না।’ 

অ্যামেরিকান অ্যাম্বাসেডর বলেন, ‘আমরা, অ্যামেরিকা তাই চাই, যা প্রতিটি বাংলাদেশি চায়- অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন।’

রাষ্ট্রদূত হাস বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানের পরিপ্রেক্ষিতে এবং বাংলাদেশি জনগণের সমর্থনে অ্যামেরিকা নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটি আমাদের নীতি ব্যবহার করে সমর্থন করার আমাদের একটি উপায়।’ 

বর্তমানে বাংলাদেশ-অ্যামেরিকা সম্পর্কের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জগুলো কী জানতে চাইলে হাস জানান, তিনি ‘চ্যালেঞ্জের পরিবর্তে ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘(আজকের) ফটো প্রদর্শনীটি ঐতিহাসিকভাবে আমাদের অংশীদারত্বের একটি মহান দৃষ্টান্ত। অতীতই নয়, এমন কি বর্তমানেও আমাদের বাণিজ্য, নিরাপত্তা সম্পর্ক, দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক, স্বাস্থ্যসেবা ক্ষেত্রের অংশীদারত্ব রয়েছে। এছাড়া অবশ্যই আমরা কাজ করে যাচ্ছি, আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আমাদের ভালো আলোচনা হচ্ছে।’

প্রদর্শনীতে ৫০টি ঐতিহাসিক আলোকচিত্র প্রদর্শন করা হয়েছে। এটি অ্যামেরিকা ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকীর একটি বর্ধিত উদযাপন। ছয়টি সুনির্দিষ্ট ক্যাটাগরিতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের প্রতিফলন দেখানো হয়েছে। 


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন




Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...