শিকাগোতে বুধবার ন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ ব্ল্যাক জার্নালিস্টস কনভেনশনে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কয়েক বছর আগেও জানতাম না যে তিনি কৃষ্ণাঙ্গ। অথচ এখন তিনি কৃষ্ণাঙ্গ হিসেবেই পরিচিত হতে চাচ্ছেন। তাই আমি বুঝতে পারছি না তিনি কি ভারতীয়? নাকি তিনি কৃষ্ণাঙ্গ?’
এর প্রতিক্রিয়ায় হ্যারিস বলেছেন, বরাবরের মতোই ট্রাম্পের মন্তব্য বিভক্তি সৃষ্টিকারী ও অসম্মানজনক।
ঐতিহাসিক কৃষ্ণাঙ্গ কমিউনিটি সিগমা গামা রো এর একটি সভায় হিউস্টনে হ্যারিস বলেন, ‘অ্যামেরিকার জনগণের আরও ভালো কিছু প্রাপ্য। আমাদের এমন একজন নেতা প্রয়োজন যিনি বুঝতে পারবেন যে আমাদের পার্থক্যগুলো আমাদেরকে আলাদা করে না। এটা আমাদের শক্তির একটি প্রয়োজনীয় উৎস।’
ট্রাম্পের বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে হোয়াইট হাউযের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারিন জিন-পিয়েরে বলেন, ‘কোন ব্যক্তিরই অপর কোন ব্যক্তির পরিচয় নিয়ে প্রশ্ন তোলার অধিকার নেই। এই অধিকার কারোরই নেই।’
নিউ ইয়র্কের কংগ্রেসম্যান রিচি টোরেস এক এক্সবার্তায় বলেন, ‘নিজের দীর্ঘ ও কুৎসিত বর্ণবাদের ইতিহাস থাকা ট্রাম্প কবে থেকে কৃষ্ণাঙ্গদের পরিচয়ের বিচারক হলেন?’ ওই এক্সবার্তায় ট্রাম্পকে বর্ণবাদী অতীতের ধারক হিসেবে অভিহিত করেন তিনি।
নিজের প্রতিদ্বন্দ্বীদেরকে বর্ণবাদের ভিত্তিতে ব্যক্তিগত আক্রমণ করার ইতিহাস রয়েছে সাবেক এই প্রেসিডেন্টের। এর আগে অ্যামেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জন্ম অ্যামেরিকায় নয় বলেও মিথ্যা দাবী করেছিলেন তিনি।