স্পিকার শনিবার রাত ৯টার দিকে বলেন, ‘আমি এইমাত্র প্রেসিডেন্টের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। তার সঙ্গে আজ দুইবার কথা হলো। কয়েক সপ্তাহের আলোচনার পর আমরা নীতিগতভাবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি… এখনও আমাদের অনেক কাজ বাকি আছে।’
তবে চুক্তির বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য তিনি জানাননি। বলেছেন, রোববার চুক্তিটি বিল আকারে পোস্ট করা হবে এবং বুধবার হবে ভোটাভুটি।
স্পিকার বলেন, ‘আমি আগামীকাল (রোববার) বিলটি লেখা শেষ করে হোয়াইট হাউযের সঙ্গে সেটি ঠিকঠাক করে নেব। বিকালে আবার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলবে এটি লিখিত আকারে পোস্ট করব। বুধবার এই বিলে ভোট হবে’।
এই বিলকে অ্যামেরিকানদের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত নীতিগত চুক্তি বলে আখ্যায়িত করেছেন তিনি।
ম্যাকর্থি বলেন, ‘এই বিলে ঐতিহাসিকভাবে খরচ কমানো হয়েছে। এর ফলে যে সংস্কার হবে তা জনগণকে দারিদ্র্য থেকে কর্মীবাহিনীতে তুলে আনবে, সরকারের আধিপত্যকে ডিঙিয়ে যাবে। বিলে নতুন কোনো ট্যাক্স নেই, কোনো সরকারি কর্মসূচি নেই।’
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন চুক্তিতে পৌঁছানোর বিষয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এটিকে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যা শ্রমজীবী মানুষের জন্য প্রয়োজনীয় কর্মসূচিগুলোকে রক্ষা করবে এবং একইসঙ্গে খরচও কমাবে। প্রত্যেকের জন্য অর্থনৈতিক পরিস্থিতি উন্নত করবে। চুক্তিটি আমার ও কংগ্রেশনাল ডেমোক্র্যাটদের মূল অগ্রাধিকার ও আইনী কৃতিত্ব।’
প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, ‘একটি সমঝোতার মধ্যে এই চুক্তি হয়েছে। এর মানে হলো, সবাই যা চাইবে তা সবসময় পাবে না। এটি দেখা রাষ্ট্র পরিচালনারই দায়িত্ব।’
বাইডেন জানান, চুক্তির মাধ্যমে দেশ ঋণখেলাপি হবে না, ভয়াবহ অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে জাতি রক্ষা পাবে। কংগ্রেসের দুই চেম্বারে চুক্তিটি বিল আকারে পাস হলে ৫ জুনের মধ্যে তার হাতে পৌঁছাবে।
এর আগে ঋণ শোধের তারিখ ১ জুন থেকে বাড়িয়ে ৫ জুন করার ঘোষণা দেন ট্রেজারি সেক্রেটারি জ্যানেট ইয়েলেন। তিনি এক চিঠিতে শুক্রবার কংগ্রেসকে বিষয়টি অবহিত করেন।
তিনি সতর্ক করেছিলেন যে, ৩১.৪ ট্রিলিয়ন ঋণ রয়েছে সরকারের।
চিঠিতে তিনি লেখেন, ‘সবশেষ প্রাপ্ত উপাত্ত অনুযায়ী কংগ্রেস যদি ঋণসীমা বাড়াতে ব্যর্থ হয় তাহলে ৫ জুন সরকার ঋণ পরিশোধে প্রয়োজনীয় অর্থশূন্য হয়ে পড়বে।’
ঋণসীমা বাড়াতে ব্যর্থ হলে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো খেলাপি হবে অ্যামেরিকা।
এর ভয়াবহ প্রভাব পড়বে সরকারি খাত থেকে অনুদান নিয়ে চলা প্রতিটি সংস্থা বা কার্যক্রম এমনকি ফেডারেল কর্মচারীদের বেতন-ভাতার ওপরও।
হোয়াইট হাউযের শীর্ষ কর্মকর্তা ও রিপাবলিকান আইনপ্রণেতাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার ঋণসীমা দুই বছর বাড়াতে আলোচনা করেছেন বলে এক প্রতিবেদনে জানায় দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস।