কৃষ্ণাঙ্গ ফ্লয়েড হত্যায় স্টেইটের সাবেক চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। থাওসহ প্রত্যেকেই এতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।
২০২০ সালে ২৫ মে তখনকার পুলিশ অফিসার ড্রেক শওভিন ফ্লয়েডকে মাটিতে ফেলে হাঁটু দিয়ে তার গলায় চাপ দিয়ে রাখেন। প্রায় সাড়ে নয় মিনিট এভাবে রাখার পর ফ্লয়েডের মৃত্যু হয়। এ সময় উত্তেজিত পথচারীদের আটকে রেখেছিলেন টো থাও।
তবে থাও এর সাক্ষ্য অনুযায়ী, তিনি নির্দোষ। ফ্লয়েডের মৃত্যুতে ব্যথিত ছিলেন দাবি করে এতে তার কোনো ভূমিকা ছিল না বলেও জানান তিনি।
থাও বলেন, ‘আমি কোনো অপরাধ করিনি, আমার বিবেক আছে। আমি জুডাস নই, আত্মরক্ষার জন্য আমি কোনো দলে যোগ দেব না। আমি ঈশ্বরের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারব না।’
রায়ের প্রতিক্রিয়ায় থাও-এর অ্যাটর্নি রবার্ট পল জানিয়েছেন তারা আপিল করবেন।
গত মে মাসে ১৭৭ পৃষ্ঠার একটি রায়ে বিচারক পিটার কাহিল বলেছিলেন, থাও এবং তার সঙ্গে থাকা পুলিশ কর্মকর্তাদের কার্যক্রম ফ্লয়েডকে সেই সময় একজন চিকিৎসকের কাছ থেকে জরুরি চিকিৎসা নিতে বাধা দিয়েছে।
এর আগে হত্যায় সহযোগিতা ও প্ররোচণায় তাকে দায়ী করেন স্টেইটের হেনেপিন কাউন্টি বিচারক কাহিল।
কাহিল বলেন, ‘থাও-এর ক্রিয়াকলাপ পুলিশ অফিসারের দৃষ্টিকোণ থেকে অযৌক্তিক ছিল…।’
ফ্লয়েড হত্যায় শওভিনকে ২০২১ সালের এপ্রিলে দোষী সাব্যস্ত করেন কাহিল। তাকে ২২ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। রায়ের বিরুদ্ধে পরে আপিল করেন শওভিন।
মিনেসোটা কোর্ট অফ আপিল রায়টি বহাল রাখে। নাগরিক অধিকার লঙ্ঘনের দায়ে ফেডারেল কোর্ট তাকে আরও ২১ বছরের কারাদণ্ড দেয়।
মৃত্যুর আগে ফ্লয়েডের শেষ বাক্য ‘আমি নিঃশ্বাস নিতে পারছি না’- অ্যামেরিকা এমনকি বিশ্বজুড়ে প্রতিবাদের জন্ম দেয়। পুলিশি বর্বরতা ও বর্ণবাদ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়।