ফুকুশিমার নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের বর্জ্য পানির বিরুদ্ধে সাউথ কোরিয়ায় বিক্ষোভ

টিবিএন ডেস্ক

আগস্ট ১২ ২০২৩, ১৭:১৮

সমুদ্র বাঁচাতে ক্ষোভে উত্তাল সাউথ কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

সমুদ্র বাঁচাতে ক্ষোভে উত্তাল সাউথ কোরিয়া। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

প্যাসিফিক ওশানে জাপানের নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের পরিশোধিত বর্জ্য পানি ফেলার পরিকল্পনার প্রতিবাদে সিওলের রাস্তায় নেমে এসেছে সাউথ কোরিয়ার মানুষ।

ফুকুশিমা নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের পানি চলতি মাসেই সমুদ্রে ছেড়ে দেয়ার অনুমতি পেয়েছে জাপান। তবে সুনামি কবলিত ওই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পানি নিয়ে টোকিওর বিতর্কিত সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে শনিবার বিক্ষোভ হয় সাউথ কোরিয়ায়।

জাপানিজ কর্তৃপক্ষের দাবি, জাতিসংঘের পারমাণবিক সংস্থার ওয়াচডগের অনুমোদন সাপেক্ষেই সিদ্ধান্তটি নেয়া হয়েছে।

এমনকি একজন সাউথ কোরিয়ান পর্যবেক্ষকের অনুসন্ধান অনুসারে, ফুকুশিমা সব ধরনের আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনেই নিউক্লিয়ার প্ল্যান্টের বর্জ্য পানি সমুদ্রে ফেলবে।

তবে সাউথ কোরিয়ান বিক্ষোভকারীদের আশঙ্কা, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মানলেও এ পদক্ষেপের ফলে সামুদ্রিক প্রাণবৈচিত্র্য ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

নিউক্লিয়ার বর্জ্যের মতো বিষাক্ত পদার্থ থেকে সামুদ্রিক পরিবেশ বাঁচাতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।

সিওলে এক বিশাল মিছিলে তারা জাপান ও নিউক্লিয়ার এনার্জি সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি প্ল্যাকার্ড নিয়ে উপস্থিত হন।

কয়েকটি প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘প্যাসিফিক ওশান রক্ষা করুন’, ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার? না, ধন্যবাদ।’

পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর কোরিয়ান অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ, কোরিয়া রেডিয়েশন ওয়াচের প্রতিনিধি চোই কিয়ংসুক বলেন, ‘প্যাসিফিক ওশেন শুধু জাপান সরকারের নয়। এটি আমাদের সবার জন্য। আমাদের মানবজাতির জন্য।’

তিনি বলেন, ‘জাপানের সীমানায় বর্জ্য ফেলা হলেও তা মুহূর্তেই পুরো সমুদ্রে ছড়িয়ে পড়বে। পানিতে মিশে যাওয়া তেজস্ক্রিয় পদার্থ এক সময় সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে দেবে।’

গত মাসে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটোমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) প্যাসিফিক ওশানে ফুকুশিমার পরিশোধিত বর্জ্য পানি ফেলার পরিকল্পনাকে সমর্থন জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

এর কয়েক দিন পর, সাউথ কোরিয়াও জাপানের পরিকল্পনা গভীরভাবে পর্যালোচনা করে নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে। সাউথ কোরিয়ার ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী বাং মুন-কিউ বলেন, ‘পরিশোধিত বর্জ্য পানি আমাদের মহাসাগরীয় অঞ্চলে কোনো ক্ষতিকর প্রভাব ফেলবে না।’

তবে এরপরেও দেশ-বিদেশে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়ছে টোকিও। পরিবেশ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংস্থা সমুদ্রে নিউক্লিয়ার বর্জ্য পানি ছাড়া থেকে জাপান সরকারকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন