ঘটনাবহুল ম্যাচে প্রথমার্ধে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি কোন দলই। ফ্রান্স বল দখল ও আক্রমণে বেশ এগিয়ে ছিলো। বিরতিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে কিংসলে কোমানের ক্রস থেকে করা জুলেস কুন্ডের শট আটকে দেন গ্রিসের গোলকিপার। গোলশুন্য প্রথমার্ধ শেষ করে দুই দল।
বিরতির পর খেলার ৫৪ মিনিটে আঁতোয়া গ্রিজমানের মাথায় গ্রিক ডিফেন্ডার কন্সটান্টিনোস ম্যাভ্রোপানোস বুটের আঘাত করলে ভিএআর দেখে প্যানাল্টি আবেদনে সাড়া দেয় রেফারি। এমবাপের নেয়া প্রথম পেনাল্টি শট ঠেকিয়ে দেন গোলকিপার। শট নেয়ার আগেই গোলকিপার লাইন থেকে বেরিয়ে আসায় আবার নেয়া পেনাল্টি শটে ভুল করেননি এমবাপে।
খেলার ৬৯ মিনিটে কলো মুয়ানিকে লাস্ট ম্যান ফাউল করে সরাসরি লাল কার্ড দেখে গ্রিক ডিফেন্ডার কন্সটান্টিনোস ম্যাভ্রোপানোস। দশ জনের গ্রিসের সঙ্গে বাকি সময়ে ব্যাবধান বাড়াতে পারেনি ফ্রান্স।
আরেক ম্যাচে ওল্ড ট্রাফোর্ডে খেলতে নেমে বুকায়ো সাকার হ্যাটট্রিকে ৭-০ গোলে নর্থ মেসিডোনিয়াকে বিধ্বস্ত করেছে ইংল্যান্ড। হ্যারি কেইনের জোড়া গোল ছাড়াও একটি করে গোল পেয়েছেন মার্কাস র্যাশফোর্ড ও ক্যালভিন ফিলিপস।
ইংল্যান্ডের ১৪ টি শটের বিপরীতে ম্যাচে একটিও শট নিতে পারেনি নর্থ মেসিডোনিয়া। ইংল্যান্ডের দাপুটে জয়ের শুরু অধিনায়ক কেইনের পা থেকে আসা গোল দিয়ে। গোলমুখে লুক শ চমৎকার ভাবে খুঁজে নেন কেইনকে। এর পর থেকে নিয়মিত বিরতিতে গোল করতে থাকে ইংল্যান্ড। সাকা ৫১ মিনিটের মধ্যে হ্যাটট্রিক করে দলকে বড় জয়ের দিকে নিয়ে যান।
৪৫ মিনিটে র্যাশফোর্ডের ও ৬৪ মিনিটে ক্যালভিনের গোল নর্থ মেসিডোনিয়ার সঙ্গে ব্যাবধান বাড়ায় ইংলিশরা। কেইনের ৭৩ মিনিটের পেনাল্টির গোলে নর্থ মেসিডোনিয়ার কফিনে শেষ পেরেকটি ঠুঁকে দেয় তারা।
চার ম্যাচের চারটিতেই জিতে ইংল্যান্ড ১২ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপের শীর্ষে রয়েছে। ইউক্রেইন ৩ম্যাচে ২ জয়ে ৬ পয়েন্ট নিয়ে আছে দুইয়ে। ইতালি ২ ম্যাচ খেলে ১ জয়ে ৩ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তিনে অবস্থান করছে।