রেড সি-তে হাজারো অ্যামেরিকান সেনা

টিবিএন ডেস্ক

আগস্ট ৭ ২০২৩, ১৭:৩৫

অ্যামেরিকান সেনা নিয়ে রেড সি-তে নৌ বহর। ছবি: সংগৃহীত

অ্যামেরিকান সেনা নিয়ে রেড সি-তে নৌ বহর। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

রেড সি-তে ইরান বেশ কয়েকটি বেসামরিক জাহাজ জব্দের চেষ্টা করার প্রতিক্রিয়ায় সেখানে বিপুল সেনা সমাবেশ ঘটিয়েছে অ্যামেরিকা। দুটি যুদ্ধজাহাজে তিন হাজারেরও বেশি অ্যামেরিকান সেনা রেড সি-তে পৌঁছেছে।

ইউএস নেভির ফিফথ ফ্লিট সোমবার এক বিবৃতিতে জানায়, রোববার সুয়েজ খাল দিয়ে ট্রানজিটের পর রেড সি-তে প্রবেশ করেছেন আমেরিকান নাবিক ও মেরিনরা।

বিশ্বব্যাপী তেল বাণিজ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ গালফ অঞ্চলে অ্যামেরিকার ক্রমবর্ধমান সেনা মোতায়েনের ফলে উত্তেজনা বাড়ছে।

আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা উসকে দেয়ার জন্য ওয়াশিংটনকে সোমবার অভিযুক্ত করে তেহরান।

তবে অ্যামেরিকান সামরিক বাহিনীর দাবি, ইরান গত দুই বছরে ওই অঞ্চলে কমপক্ষে ২০টি আন্তর্জাতিক পতাকাবাহী জাহাজ জব্দ করেছে অথবা নিজেদের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করেছে।

বাহরাইন-বেজড কমান্ডের এক বিবৃতিতে বলা হয়, অ্যামেরিকার ফিফথ ফ্লিটকে আরও ‘সামুদ্রিক নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষমতা’ দিতে সেনারা ইউএসএস যুদ্ধজাহাজে রেড সি-তে পৌঁছেছেন।

ফিফথ ফ্লিটের মুখপাত্র কমান্ডার টিম হকিন্স বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘গালফ অঞ্চলে ইরানের হয়রানি ও বাণিজ্যিক জাহাজ জব্দের কারণে সৃষ্ট অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবিলা ও আঞ্চলিক উত্তেজনা কমাতে অ্যামেরিকান সেনারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।’

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নাসের কানানি সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রেড সি-তে অ্যামেরিকান সেনা মোতায়েন শুধু ওয়াশিংটনের স্বার্থরক্ষা করবে।

তিনি বলেন, ‘ওই অঞ্চলে অ্যামেরিকান সরকারের সামরিক উপস্থিতি কখনোই নিরাপত্তা দেয়নি। এই অঞ্চল ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থ রক্ষার চেষ্টা, অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতায় ইন্ধন জোগাতে বাধ্য করেছে।’

কানানি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে বিশ্বাস করি, পার্সিয়ান গালফের দেশগুলো তাদের নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সক্ষম। এতে অন্য দেশের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন নেই।’

অ্যামেরিকান সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে গত সপ্তাহে জানানো হয়, হরমুজ প্রণালী দিয়ে চলাচলকারী বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে ইরানি জাহাজের হয়রানি থেকে নিরাপদ রাখতে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের জাহাজে রাখার বিষয়টি বিবেচনা করা হচ্ছে।

এর জবাবে তেহরান শনিবার জানায়, তারা তাদের রেভ্যুলুশনারি গার্ডের নৌবাহিনীকে ড্রোন এবং এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সাজাচ্ছে।

ইরানের সশস্ত্র বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবোলফজল শেকারচির বরাতে তাসনিম নিউজ এজেন্সি বলেছে, ‘পার্সিয়ান গালফ, গালফ অফ ওমান ও ইন্ডিয়ান ওশেনের সঙ্গে অ্যামেরিকার কী সম্পর্ক? এই অঞ্চলে তাদের কী কাজ?’

এর আগে ওমানের আন্তর্জাতিক জলসীমায় গত ৫ জুলাই অ্যামেরিকান পতাকাবাহী দুটি বাণিজ্যিক অয়েল ট্যাংকার জব্দে ইরানের দুই চেষ্টায় বাধা দেয় ওয়াশিংটন। গালফ দেশগুলোর ধারণা, নিজেদের চলাচলের পথ আরও সুগম করতে অ্যামেরিকা সাম্প্রতিক সময়ে এই সেনা মোতায়ন করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, ইরানি নৌযান যে জাহাজগুলো জব্দের চেষ্টা করেছে তার মধ্যে একটি বাহামিয়ার পতাকাবাহী রিচমন্ড ভয়েজার। একটি ইরানি জাহাজের সঙ্গে ট্যাংকারবাহী জাহাজের সংঘর্ষে ইরানি নৌযানের পাঁচ ক্রু গুরুতর আহত হয়েছেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন