ওয়েইস আগে থেকেই হান্টারের ব্যবসায়িক লেনদেনের তদন্ত করছিলেন। গারল্যান্ড গত মঙ্গলবার জানান, ওয়েইস তাকে বলেছেন যে তার তদন্তকাজে বেশ অগ্রগতি হয়েছে। এ পর্যায়ে তাকে স্পেশাল কাউন্সেল হিসেবে নিয়োগ দিলে তদন্তে আরও গতি আসবে।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে জানিয়ে গারল্যান্ড বলেন, ‘এই ইস্যু সংক্রান্ত অস্বাভাবকি পরিস্থিতি দেখে আমি ঠিক করেছি যে, জনস্বার্থেই তদন্তকাজে স্পেশাল কাউন্সেল নিয়োগ দেয়া প্রয়োজন।’
ছেলের ব্যবসায়িক লেনদেনের জের ধরে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে অভিশংসনের মুখে ঠেলে দেয়ার চেষ্টায় রয়েছেন রিপাবলিকানরা। লাল শিবিরের জনপ্রিয় নেতা ও আগামী নির্বাচনের সম্ভাব্য রিপাবলিকান প্রার্থী ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে যেখানে একের পর এক মামলা হচ্ছে, সেখানে প্রেসিডেন্টপুত্রের সঙ্গে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট পক্ষপাতদুষ্টু আচরণ করছে বলে অভিযোগ রিপাবলিকানদের।
সময়মতো ট্যাক্স পরিশোধ না করার দুই অভিযোগ ও আগ্নেয়াস্ত্র সংক্রান্ত একটি অভিযোগে তদন্ত চলছিল হান্টার বাইডেনের বিরুদ্ধে।
জাস্টিস ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে হওয়া চুক্তি অনুযায়ী, আদালতে ট্যাক্সে অনিয়মের দায় স্বীকার করে নেয়ার ও প্রবেশনের জন্য সম্মত হওয়ার কথা ছিল হান্টারের। বিনিময়ে তিনি প্রি-ট্রায়াল ডাইভারশন অ্যাগ্রিমেন্টের অংশ হিসেবে কিছু শর্ত মেনে অবৈধভাবে আগ্নেয়াস্ত্র কেনার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পেতেন।
প্রবেশন হিসেবে হান্টারকে ২৪ মাস মাদক থেকে দূরে থাকতে হবে এবং তিনি আর কখনও আগ্নেয়াস্ত্র রাখতে পারবেন না। আর প্রবেশন মেনে নিলে ফৌজদারি অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরেও তিনি কারাদণ্ড এড়াতে পারবেন।
এই চুক্তির বিষয়ে রিপাবলিকানরা তীব্র সমালোচনা করেন।
ডেলওয়্যারের ডিস্ট্রিক্ট জাজ ম্যারিয়েলেন নোরেইকা গত ২৬ জুলাই শুনানিতে চুক্তির বিষয়ে সংশয় জানিয়ে এর অনুমোদন দেননি। চুক্তিটি কতটুকু সংবিধানসম্মত তা নিয়ে- প্রশ্ন তোলেন তিনি। বিশেষ করে এতে সংযুক্ত বিকল্প পন্থা ও হান্টার বাইডেনের জন্য প্রস্তাবিত সুরক্ষার বিষয়টি নিয়ে তিনি আপত্তি জানান।
রিপাবলিকানরা সম্প্রতি এফবিআইয়ের একটি আনক্লাসিফায়েড নথি প্রকাশ করে দাবি করেন, ইউক্রেইনের বিতর্কিত বেসরকারি এনার্জি ফার্ম বুরিসমার বোর্ড সদস্য থাকাকালে এর সিইওর কাছে ঘুষ চেয়েছিলেন হান্টার। এফবিআই অবশ্য জানিয়েছে, ওই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা যায়নি।
বাইডেন বারবারই দাবি করে আসছেন যে, ছেলের বৈদেশিক ব্যবসায়িক লেনদেনের বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে কখনও কোনো আলাপ হয় না।
হান্টারের এই লেনদেনেরই তদন্ত করছেন ওয়েইস।