হামাসের সামরিক প্রধানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইযরায়েল

টিবিএন ডেস্ক

আগস্ট ১ ২০২৪, ১৩:৫৯

হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মেদ দেইফ। ছবি: সংগৃহীত

হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মেদ দেইফ। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

ইযরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গত মাসে গাজায় তাদের একটি বিমান হামলায় হামাসের সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মেদ দেইফ নিহত হয়েছেন। খান ইউনিসে দেইফ অবস্থান করছিলেন এমন একটি স্থাপনায় জুলাইয়ের ১৩ তারিখ হামলা চালায় ইযরায়েল।

এখনও তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি হামাস।

ইযরায়েল জানিয়েছে, গত বছরের অক্টোবরের ৭ তারিখে ইযরায়েলে হামাসের হামলার পরিকল্পনায় জড়িত ব্যক্তিদের অন্যতম একজন হলেন দেইফ। হামাসের ওই হামলায় ১ হাজার ২০০ জন ইযরায়েলি নিহত হন এবং ২৫১ জনকে হামাস জিম্মি করে নিয়ে যায়।

এদিকে বুধবার ইরান সফরকালে বুধবার এক হামলায় নিহত হয়েছেন হামাসের রাজনৈতিক নেতা ইসমাইল হানিয়া। তার মৃত্যুতে ইযরায়েল সরাসরি কোন প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

বৃহস্পতিবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ইযরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে এটা নিশ্চিত করা যাচ্ছে যে ১৩ জুলাইয়ের হামলায় মোহাম্মেদ দেইফ নিহত হয়েছিলেন।

১৩ জুলাইয়ের হামলার পর গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, হামলায় ৯০ জনেরও বেশি প্যালেস্টিনিয়ানের মৃত্যু হয়েছে। তবে নিহতদের মধ্যে দেইফের থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে তারা।

দেইফকে গাজায় ইয়াহিয়া সিনওয়ারের পর হামাসের দ্বিতীয় শীর্ষ নেতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। ইযরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট দেইফের মৃত্যুকে হামাসকে সম্পূর্ণরূপে নিশ্চিহ্ন করার ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক হিসেবে অভিহিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘এই অভিযানের ফলে এটিই স্পষ্ট হচ্ছে যে হামাস ভেঙে পড়ছে এবং হামাসের সন্ত্রাসীরা হয় আত্মসমর্পণ করতে পারে কিংবা মৃত্যুর পথ বেছে নিতে পারে।’

মোহাম্মেদ দেইফকে ২০০২ সালে হামাসের সামরিক শাখা ইজ্জেদিন আল-কাসসাম ব্রিগেড এর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। কয়েক দশক ধরেই তিনি ইযরায়েলের মোস্ট ওয়ান্টেড এর তালিকায় রয়েছেন। সাতবার হত্যাচেষ্টা থেকেও বেঁচে গেছেন তিনি।

ইযরায়েলি ও প্যালেস্টিনিয়ান সংবাদমাধ্যমের বরাতে জানা যায়, ইজিপ্টের অধীনে থাকাকালীন গাজার খান ইউনিস শরণার্থী শিবিরে ১৯৬৫ সালে দেইফের জন্ম হয়।

যুবক দেইফ ১৯৮০ এর দশকে হামাসে যোগ দেন এবং দ্রুতই জনপ্রিয়তা অর্জন করেন।

১৯৯৬ সালে একটি গাড়ি বোমা হামলায় ১০ ইযরায়েলির মৃত্যু হয়। ওই হামলার পরিকল্পনা ও তত্ত্বাবধান ও ১৯৯০ এর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তিন ইযরায়েলি সেনা সদস্যকে আটক ও হত্যার জন্য দেইফকে দায়ী করেছে ইযরায়েল।

২০১৪ সালে গাজার শেখ রেদোয়ান এলাকায় একটি ইযরায়েলি বিমান হামলায় দেইফের স্ত্রী উইদাদ ও তাদের এক শিশু সন্তান নিহত হয়। ওই হামলার সময় আবাসিক ভবনটিতে দেইফ ছিলেন বলে ধারণা করেছিল ইযরায়েল।

সাম্প্রতিক সংঘাতে দেইফ গাজার ভূগর্ভস্থ সুড়ঙ্গগুলো হতে হামাসের সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছিলেন বলে ধারণা করা হয়।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন