গ্রেফতার ছয় জন হলেন, অ্যান্দ্রেস এম, জস এন, এডি জি, ক্যামিলো আর, জুলেস সি ও জন রদ্রিগুয়েয।
পুলিশ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ওই কলম্বিয়ান নাগরিকরা সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য।
রাজধানী কুইটোতে বুধবার এক নির্বাচনি সমাবেশ থেকে বের হওয়ার সময় গুলি করে হত্যা করা হয় ভিলাভিসেনসিওকে। দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির সদস্য ভিলাভিসেনসিও দুর্নীতি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
ভিলাভিসেনসিওকে হত্যার ঘটনার পর দেশজুড়ে ৬০ দিনের জরুরি অবস্থা জারি করেন প্রেসিডেন্ট গুইলেরমো ল্যাসো। তবে তিনি পরিষ্কার করেছেন, ২০ অগাস্টের নির্ধারিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচন স্থগিত করা হবে না।
দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জুয়ান য্যাপাটা জানান, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা এই হত্যাকাণ্ডের মোটিভ ও পরিকল্পনাকারীদের শনাক্তে কাজ করছেন।
তিনি জানান, সন্দেহভাজন ছয় জনকে গ্রেফতারের সময় তাদের কাছ থেকে রাইফেল, সাবমেশিন গান, পিস্তল, গ্রেনেড, গোলাবারুদ, মোটরবাইক ও চুরির গাড়ি জব্দ করা হয়।
হত্যা তদন্তে অ্যামেরিকার ফেডারেল এজেন্টদের সহায়তার আহ্বান জানিয়েছেন য্যাপাটা।
ইকুয়েডর ঐতিহাসিকভাবে ল্যাটিন অ্যামেরিকার তুলনামূলকভাবে নিরাপদ ও স্থিতিশীল দেশ হলেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে অপরাধের মাত্রা বেড়েছে। দেশটিতে কলম্বিয়ান এবং মেক্সিকান অপরাধী চক্রের উপস্থিতির কারণে অপরাধ বেড়েছে বলে মনে করা হয়।