এর আগে গোপন নথির অব্যবস্থাপনার মামলায় তাকে ৩৭ কাউন্টে অভিযুক্ত করা হয়েছিল। শুক্রবার আরও তিন অভিযোগ এতে যুক্ত করা হয়েছে। সেগুলো হলো, ইচ্ছাকৃতভাবে রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা তথ্য নিজের কাছে আটকে রাখার এক কাউন্ট এবং তদন্তকাজে বাধা সৃষ্টি করার দুই কাউন্ট। সব মিলিয়ে এখন গোপন নথির মামলায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৪০ কাউন্টের বিচার হবে।
এবিসি নিউজ জানিয়েছে, সাক্ষাৎকারে হোস্ট জন ফ্রেডেরিকস ট্রাম্পকে প্রশ্ন করেন, ‘যদি এই অভিযোগগুলো পান ও দোষী সাব্যস্ত হন এবং সাজা পান, দণ্ডিত হিসেবে তাহলে কি প্রেসিডেন্ট পদে আপনার প্রচারণা বন্ধ হয়ে যাবে?’
জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘একেবারেই না। সংবিধানে এমন কিছুই নেই যাতে বলা যায় এটি একেবারেই করা যাবে না।’
সংবিধান বিশেষজ্ঞরা একমত, ফৌজদারি মামলার রেকর্ড না থাকা প্রেসিডেন্টে পদে প্রার্থীতার কোনো যোগ্যতা নয়। সংবিধানে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকায় জন্মগ্রহণকারী অন্তত ৩৫ বছর বয়সী ও ১৪ বছর ধরে অ্যামেরিকায় বসবাসকারী যে কোনো নাগরিক প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন।
নতুন অভিযোগ যুক্ত করার পাশাপাশি এই মামলায় ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-অ্যা-লাগো এস্টেটের কর্মী কার্লোস ডি অলিভিয়েরাকেও আসামি করা হয়েছে। পাশাপাশি মামলার আরেক আসামি ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহযোগী ওয়াল্ট নটার বিরুদ্ধেও বৃহস্পতিবার তদন্তকাজে বাধা দেয়ার নতুন দুটি অভিযোগ যুক্ত করা হয়েছে। ট্রাম্প ও নটা দুজনেই এই মামলায় নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, মার-অ্যা-লাগো এস্টেটের সিটিটিভি ফুটেজ মুছে ফেলার জন্য অলিভিয়েরাকে চাপ দিয়েছেন ট্রাম্প। অবৈধভাবে রাখা গোপন নথি সরিয়ে নেয়ার ঘটনা রেকর্ড হয়েছিল ওই সিসিটিভিতে।
রেডিও সাক্ষাৎকারে শুক্রবার ট্রাম্প নতুন অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেন।
ট্রাম্প অভিযোগ সম্পর্কে বলেন, ‘আমি নিশ্চিত নই যে তারা কথা বলছে। আমি একদম নিশ্চিত নই যে তারা কী বলছে। তারা মানুষকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে, তাই তাদের মিথ্যা বলতে হবে।’
নটা ও ডি অলিভিয়ার প্রশংসা করে ট্রাম্প তাদের সম্বন্ধে বলেন, ‘এরা দুজন প্রতিষ্ঠানের চমৎকার কর্মী। দীর্ঘদিন ধরে আমার সঙ্গে আছেন এবং তারা দারুণ মানুষ। তারা তাদের জীবন ধ্বংস করতে চায়।
গত জুনে গোপন নথি জব্দের ঘটনায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ৩৭টি অভিযোগ এনেছিলেন ফেডারেল আইনজীবীরা।
সে অভিযোগপত্রে বলা হয়েছিল, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ২০২১ সালে ক্ষমতা ছাড়ার পর জাতীয় নিরাপত্তার তথ্য নিজের কাছে রেখে দেয়া সংক্রান্ত ৩১টি অভিযোগ, বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রের একটি, নথি বা রেকর্ড আটকে রাখার একটি, নথি বা রেকর্ড বেআইনিভাবে গোপন করার একটি, ফেডারেল তদন্তে নথি গোপন করার একটি, গোপন করার পরিকল্পনার একটি, এবং মিথ্যা বিবৃতি ও উপস্থাপনার একটিসহ মোট ৩৭টি অভিযোগ আনা হয়।