ম্যাস শ্যুটিং ষড়যন্ত্রে কিশোর গ্রেফতার
টিবিএন ডেস্ক
জুন ১৭ ২০২৩, ১৭:০৯
- 0
অনলাইনে কট্টর নিও-নাযি ও ইহুদি-বিদ্বেষী মতাদর্শ প্রচার ও ম্যাস শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনার অভিযোগে মিশিগানের এক কিশোরকে গ্রেফতার করেছে এফবিআই।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ১৯ বছর বয়সী কিশোর সিয়েন পিয়েটিলা, মিশিগানের পিকফোর্ডের বাসিন্দা। সে ম্যাস শ্যুটিংয়ের পরিকল্পনায় অস্ত্র মজুদ করছিল। তাকে শুক্রবার গ্রেফতার করা হয়।
মিশিগানের ওয়েস্টার্ন ডিস্ট্রিক্টের অ্যাটর্নি অফিস, এক ব্যক্তির উপর হামলা চালানোর হুমকি সম্বলিত তথ্য পাঠানোর অভিযোগে পিয়েটিলাকে অভিযুক্ত করেছে।
তদন্ত কর্মকর্তাদের প্রতিবেদন অনুসারে, পিয়েটিলা ইন্সটাগ্রামের অন্য এক ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করে। তারা দুজনেই ইহুদি জনপদ, নিও-নাযি ও বিভিন্ন সময়ে ঘটা ম্যাস শ্যুটারদের বিষয়ে শক্তিশালী মতবাদ প্রচার করেছে।
এফবিআই শুক্রবার সন্দেহভাজন ওই কিশোরের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। সেখানে তারা অস্ত্র ভর্তি একটি বাক্স, একটি নাযি পতাকা, একটি ঘিল্লি স্যুট, গ্যাস মাস্ক ও মিলিটারি স্নাইপার বা সারভাইভাল ম্যানুয়াল খুঁজে পায়।
সন্দেহভাজনের ফোনে নোট অ্যাপে একটি বার্তায় দেখা যায়, পিয়েটিলা পূর্ব ল্যান্সিংয়ের একটি উপাসনালয় চিহ্নিত করেছে। তার সঙ্গে একটি তারিখ ও হামলার বিভিন্ন সরঞ্জামের তালিকা পাঠানো হয়েছে।
এফবিআইয়ের দাবি, তারা মঙ্গলবার অনলাইনে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে একই ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট থেকে বেশ কয়েকটি হুমকির বার্তা পাঠানোর অভিযোগ পান। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতিষ্ঠান মেটা ওই ব্যবহারকারীর তথ্য দিয়ে তাদের সহযোগিতা করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত পরিচালনা করে মিশিগানের ওই কিশোরকে ম্যাস শ্যুটিংয়ের ষড়যন্ত্র করা ও নিও-নাযিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযুক্ত করা হয়।
এছাড়া পিয়েটিলার বিরুদ্ধে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে ২০১৯ সালের ম্যাস শ্যুটিংয়ে শ্যুটারের প্রশংসা ও তাকে অনুসরণ করারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। মেটা অ্যাপে পিয়েটিলার পাঠানো বার্তা বিশ্লেষণে তদন্তকারীরা বলেছেন, তারা বারবার একটি নির্দিষ্ট তারিখ পেয়েছেন। ওই তারিখটি নিউজিল্যান্ডের চার্চ হামলার পঞ্চম বার্ষিকীকে নির্দেশ করছে।
অ্যামেরিকান অ্যাটর্নি মার্ক টোটেন এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমাদের ইহুদি সম্প্রদায় কিংবা অন্য যেকোনো জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে মিশিগান ওয়েস্টার্ন ডিসট্রিক্টে সহিংস হুমকি বা সহিংসতা সহ্য করা হবে না। আমরা বরাবরই যেকোনো হুমকি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করি।’