বাদিপক্ষের আইনজীবীর বরাতে বিবিসি জানায়, ৩ অগাস্ট ফাইনালের দুদিন আগে প্রতিযোগীদের শরীর পরীক্ষা এবং ছবি তোলার নামে তাদেরকে টপ খুলতে বলা হয়েছিল।
শরীরে কোনও দাগ, সেলুলাইট কিংবা ট্যাটু রয়েছে কি-না সেটিও পরীক্ষা করতে চেয়েছেন আয়োজকরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এক প্রতিযোগী বলেন, ‘আমি মনে করি আমার অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে… এ ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। আমার ঘুমোতে সমস্যা হয়েছে।’
আরেক অভিযোগকারী জানান, একটি আবদ্ধ ঘরে তাদের শরীর পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে কিছু পুরুষও উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার দরজা পুরোপুরি বন্ধ ছিল না।
জাকার্তা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এ ঘটনায় তারা তদন্ত করবে।
মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়ার মালিক সেলিব্রিটি পপি ক্যাপেলা এক বিবৃতিতে বলেন, তার প্রতিষ্ঠান এ অভিযোগের তদন্ত করছে।
যৌন অনৈতিকতার অভিযোগ খুবই গুরুত্বসহ নেয়া হয় দাবি করে গ্লোবাল মিস ইউনিভার্স জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খুব সতর্কভাবে খতিয়ে দেখছে।
সাবেক মিস ইন্দোনেশিয়া মারিয়া হারফান্তি বলেন, এমন প্রতিযোগিতায় শরীর পরীক্ষা করাটা খুব স্বাভাবিক। তবে সাধারণত কাউকে নগ্ন হতে বলা হয় না। আয়োজকরা প্রায়ই প্রতিযোগীদের শরীরের অনুপাত পরীক্ষার জন্য বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) জিজ্ঞাসা করেন।
এর আগে ২০১৩ সালে বিশ্বের বৃহত্তর মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ‘বিকিনি রাউন্ড’ বাতিল করা হয়েছিল।
মিস ইউনিভার্স এখন ৭৩তম আসরে। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় জনপ্রিয়, বিশেষ করে ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডে। এখানকার বিজয়ীরা সেলিব্রেটি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।
মিস ইউনিভার্স-এর মালিক অ্যান জাক্রাজুটাটিপ একজন থাই ট্রান্সজেন্ডার নারী এবং মিডিয়া মোগল। তিনি বিবাহিত নারী, ট্রান্সজেন্ডার নারী এবং একক মায়েদের প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার অনুমতি দিয়ে ব্র্যান্ডটিকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছেন।