লন্ডনে দূষণের জন্য ১৮.৬ মিলিয়ন ডলার দিতে অস্বীকার অ্যামেরিকান দূতাবাসের

টিবিএন ডেস্ক

মে ২২ ২০২৪, ১৭:০৬

লন্ডনে অ্যামেরিকান দূতাবাস। ফাইল ছবি

লন্ডনে অ্যামেরিকান দূতাবাস। ফাইল ছবি

  • 0

লন্ডনে পরিবহন নেটওয়ার্কের তত্ত্বাবধানকারী ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) জানিয়েছে, লন্ডনের যানজট ফি বাবদ ১৮.৬ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করছে অ্যামেরিকান দূতাবাস।

সেন্ট্রাল লন্ডনে ট্র্যাফিক এবং দূষণ রোধে ২০০৩ সালে কনজেশন চার্জ চালু করা হয়। কনজেশন চার্জ জোনের মধ্যে থাকা ড্রাইভারদের সপ্তাহের দিনগুলিতে সকাল ৭ টা থেকে সন্ধ্যা ৬ টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দুপুর ১২ টা এবং সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে দৈনিক ১৯ ডলার চার্জ দিতে হয়।

টিএফএল বলেছে যে, অ্যামেরিকান দূতাবাসের ১৮.৬ মিলিয়ন ডলারের এই ফি আগের সমস্ত বকেয়া ফি অনুসরণ করা হয়েছে। এক বিবৃতিতে বলেছে যে এই ফি দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিষয়টি আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতে উত্থাপনের মাধ্যমে চাপ দেয়া হবে। যদিও অ্যামেরিকান দূতাবাস সেই অর্থ প্রদান করতে অস্বীকার করেছে এবং জরিমানা থেকে কূটনৈতিক দায়মুক্তি দাবি করছে।

অ্যামেরিকান দূতাবাসের এক মুখপাত্র বলেন, ‘১৯৬১ সালের ভিয়েনা কনভেনশন অন ডিপ্লোম্যাটিক রিলেশনসে প্রতিফলিত আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আমাদের অবস্থান হচ্ছে কনজেশন চার্জ এমন একটি কর যা থেকে কূটনৈতিক মিশনগুলোকে অব্যাহতি দেয়া হয়। ’

ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন জোর দিয়ে বলছে যে, বৃটেইন সরকারের সঙ্গে চুক্তিতে, লন্ডনের কনজেশন চার্জ একটি সার্ভিস চার্জ, এটি কর নয়। এর অর্থ হলো, কূটনীতিকদের এই অর্থ পরিশোধ থেকে ছাড় দেয়া হবে না।

টিএফএলের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ১৬১টি দূতাবাস, হাইকমিশন ও কনস্যুলেটের সম্মিলিতভাবে অপরিশোধিত কনজেশন চার্জ ফি বাবদ ১৮২ মিলিয়ন ডলারের বেশি পাওনা রয়েছে। টিএফএলের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জাপানি দূতাবাসের কাছে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পরিমাণ পাওনা রয়েছে অপরিশোধিত কনজেশন চার্জ ফি বাবদ, প্রায় ১২.৮ মিলিয়ন ডলার।

অ্যামেরিকান দূতাবাসকে এই ফি পরিশোধ করা উচিত কিনা তা নিয়ে বিতর্ক এই প্রথম নয়। ২০০৫ সালের জুলাইয়ে, দূতাবাস একটি কূটনৈতিক নোট জারি করে দাবি করে যে, এটি এমন একটি কর যা অ্যামেরিকান সরকার, এর কূটনৈতিক ও কনস্যুলার কর্মী বা এর সামরিক বাহিনীর উপর আইনত আরোপ করা যায় না।

আরও পড়ুন: এক মিলিয়ন ব্যারেল পেট্রোল বাজারে ছাড়ছে বাইডেন প্রশাসন

দূতাবাস প্রাথমিকভাবে চার্জ পরিশোধ করলেও ২০০৫ সালের ১২ জুলাই এটি আবার বন্ধ করে দেয়।

২০২০ সালে বৃটেইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডমিনিক রাব বলেছিলেন, বৃটিশ কর্মকর্তারা ‘বকেয়া জরিমানা ও ঋণ পরিশোধের’ জন্য চাপ দিতে বেশ কয়েকটি কূটনৈতিক মিশন ও আন্তর্জাতিক সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছেন।

জাপানি দূতাবাস সিএনএনকে বলেছে, ‘জাপান সরকার মনে করে যে চার্জটি ‘বকেয়া এবং করের’ সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। তাই দূতাবাস, এর কূটনৈতিক এজেন্ট এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চার্জ থেকে অব্যাহতি দেয়া উচিত।’

বৃটেইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে যে, কূটনীতিকরা এই চার্জ প্রদান করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। কূটনৈতিক ছাড়ের কোনও আইনী ভিত্তি নেই বলেও জানায় বৃটেইনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন