পুতিনবিরোধী অ্যাক্টিভিস্টের ২৫ বছরের কারাদণ্ড

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ১৭ ২০২৩, ১৯:৪১

রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডিত এই অ্যাক্টিভিস্টকে একটি ‘স্ট্রিক্ট রেযিম কারেকশনাল কলোনি’তে থাকতে হবে। ছবি: রয়টার্স

রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডিত এই অ্যাক্টিভিস্টকে একটি ‘স্ট্রিক্ট রেযিম কারেকশনাল কলোনি’তে থাকতে হবে। ছবি: রয়টার্স

  • 0

ইউক্রেইনে রাশিয়ার সেনা অভিযানের সমালোচনার দায়ে ভিন্নমতাবলম্বী অ্যাক্টিভিস্ট ভ্লাদিমির কারা-মুর্জাকে ২৫ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ, রাশিয়ান সেনাবাহিনী সম্পর্কে ‘মিথ্যা’ তথ্য ছড়ানো এবং ‘ক্ষতিকর’ সংগঠনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে বলে রায়ে উল্লেখ করেছে আদালত।

তবে মুর্জা তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। 

রাশিয়ান-বৃটিশ সাবেক সাংবাদিক ও রাজনীতিক কারা-মুর্জা বেশ কয়েকজন পুতিনবিরোধীদের মধ্যে একজন, যারা সম্প্রতি গ্রেফতার হয়েছেন বা রাশিয়া ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। ইউক্রেইনে অভিযান শুরুর পর তিনি প্রথম পুতিনবিরোধী নেতা যিনি এক দীর্ঘমেয়াদে কারাদণ্ড পেলেন। 

কারা-মুর্জা গত সপ্তাহে তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ নাকচ করে এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমি যা বলেছি তার প্রতিটি শব্দ আমি ধারণ করি… এটি নিয়ে কোনো অনুতাপ নেই বরং আমি গর্বিত।’

অনলাইনে পোস্ট করা বিবৃতিতে মুর্জা বলেন, ‘আমি জানি এমন দিন একদিন আসবে যেদিন আমাদের দেশকে ঘিরে রাখা অন্ধকার দূর হবে। এ সমাজের চোখ খুলবে এবং তখন বোঝা যাবে দীর্ঘদিন কত অন্যায় করা হয়েছে।’ 

বিচারক মুর্জাকে ৪০০,০০০ রুবেল (৪,৯০০ ডলার) জরিমানাও করেছেন। রায়ে বলা হয়েছে, দণ্ডিত এই অ্যাক্টিভিস্টকে একটি ‘স্ট্রিক্ট রেযিম কারেকশনাল কলোনি’তে থাকতে হবে।

মানবাধিকার লঙ্ঘন ও দুর্নীতির অভিযোগ রাশিয়ান কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পশ্চিমা সরকারগুলোকে তৎপর হতে কারা-মুর্জা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।

এক পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশনা মানতে অস্বীকৃতি জানানোর অভিযোগে এক বছর আগে মস্কোতে গ্রেফতার হন কারা-মুর্জা। পুলিশ হেফাজতে থাকার সময় তার বিরুদ্ধে একের পর এক গুরুতর অভিযোগ তোলা হয়। 

এর আগে ভ্লাদিমির মুর্জা দু’বার বিষ প্রয়োগের শিকার হন।

কারা-মুর্জাকে সাজা দেয়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে চলছে নিন্দা। বৃটেইন সরকার এরই মধ্যে রাশিয়ান অ্যাম্বাসেডরকে তলব করেছে।

বৃটিশ ফরেইন সেক্রেটারি জেমস ক্লেভারলি এক বিবৃতিতে বলেন, ‘মৌলিক মানবাধিকার ও বাকস্বাধীনতা রক্ষায় রাশিয়ার উদাসীনতা উদ্বেগজনক।’

ক্যাম্পেইন গ্রুপ হিউম্যান রাইটস ওয়াচ এ রায়কে ‘বিচারিক প্রহসন’ দাবি করে নিন্দা জানিয়েছে। সংস্থাটি বলছে, ‘রাশিয়ান কর্তৃপক্ষের উচিত অবিলম্বে এ রায় বাতিল করা এবং তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দেয়া।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন