জনপ্রিয় স্পোর্টসওয়্যারে উচ্চমাত্রার বিষাক্ত কেমিক্যাল

টিবিএন ডেস্ক

মে ১৮ ২০২৩, ২২:৩৮

জনপ্রিয় স্পোর্টসওয়্যারে উচ্চমাত্রার বিপিএ রাসায়নিক। ছবি: সংগ্রহীত

জনপ্রিয় স্পোর্টসওয়্যারে উচ্চমাত্রার বিপিএ রাসায়নিক। ছবি: সংগ্রহীত

  • 0

খেলোয়াড়, স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ, আধুনিক ফ্যাশনেবল সেলেব্রেটি বা সাধারণ নাগরিক- সবার পছন্দের শীর্ষে রয়েছে স্পোর্টস ব্রা, শার্ট, লেগিংস, সোয়েট শার্টসহ নানা ধরনের অ্যাথলেটিক পোশাক।

আরামদায়ক, ফ্যাশনেবল ও টেকসই এসব স্পোর্টসওয়্যারের জনপ্রিয়তাকে পুঁজি করে গড়ে উঠেছে নিত্যনতুন পোশাক ব্র্যান্ড। 

তবে একটি ওয়াচডগ গ্রুপ গত বুধবার সতর্কতা জারি করে বলেছে, এসব স্পোর্টস ব্রা ও অ্যাথলেটিক পোশাক ব্র্যান্ডগুলোর পণ্যে উচ্চমাত্রার বিস ফেনল এ (বিপিএ) পাওয়া গেছে। প্লাস্টিক তৈরিতে ব্যবহৃত এই রাসায়নিক যৌগ হাঁপানি, কার্ডিওভাসকুলার, স্থূলতা ও অকাল মৃত্যুর মতো স্বাস্থ্য ঝুঁকির জন্য দায়ী। 

অ্যাথলেটিক পোশাকে বিপিএ পাওয়ার পর গত অক্টোবরেই গ্রাহকদের সতর্ক করেছিল সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট হেলথ (সিইএইচ)। বিভিন্ন ব্র্যান্ডের লেগিংস, শর্টস, স্পোর্টস ব্রা, অ্যাথলেটিক শার্ট ও পোশাক পরীক্ষার পর ক্যালিফোর্নিয়ার নির্ধারিত বিপিএর নিরাপদ সীমার ৪০ গুন বেশি রাসায়নিক পাওয়ার পর আরও আটটি ব্র্যান্ডকে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছে সংস্থাটি। 

ক্যালিফোর্নিয়ার ১৯৮৬ সালের আইনের বিশেষ প্রস্তাবনা সিক্সটি ফাইভে বলা আছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক স্কিন এক্সপোযারের মাধ্যমে দিনে সর্বোচ্চ ৩ মাইক্রোগ্রাম বিপিএ গ্রহণ করতে পারবে। 

নতুন করে পরীক্ষিত ব্র্যান্ডগুলোর তালিকায় রয়েছে- অ্যাথলেটা, চ্যাম্পিয়ন, কোহলস ও নাইকি। এছাড়া প্যাটাগোনিয়া ব্র্যান্ডের লেগিংস, সোয়েটি বেটির স্পোর্টস ব্রা, ফ্যাবলেটিকসের অ্যাথলেটিক শার্ট এবং অ্যাডিডাস, চ্যাম্পিয়ন ও নাইকির শর্টস। 

অ্যাথলেটার এক মুখপাত্র বলেন, ‘একটি সার্টিফাইড বি-কর্প হিসেবে অ্যাথলেটার সব পণ্য নির্ধারিত সুরক্ষা মানদণ্ড অনুসরণ করে তৈরি করা হয়েছে। গ্রাহকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা গভীরভাবে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি সিইএইচের দাবির কোনো ভিত্তি নেই। আশা করছি গ্রাহকেরা আমাদের পাশে দাঁড়াবেন।’

এর আগে অক্টোবরে অ্যাথলেটা, পিঙ্ক, অ্যাসিক্স, দ্য নর্থ ফেস, ব্রুকস, অল ইন মোশন, নাইকি ও ফিলার স্পোর্টস ব্রা ব্যবহারের ছয় মাস ভেতর বিপিএ পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হয়। পণ্যে বিপিএ নিরাপদ সীমার ২২ গুন বেশি কেমিক্যাল মজুদ থাকায় এসব ব্র্যান্ডের গ্রাহককে সতর্ক করেছিল সিইএইচ। 

তবে এ ঘটনায় মন্তব্য করেনি বেশিরভাগ ব্র্যান্ড। 

সিএনএনকে দেয়া এক বিবৃতিতে সিইএইচ জানিয়েছে, ঠিক যেভাবে শিশুদের ক্যান্ডি ও খেলনা বিষাক্ত রাসায়নিক মুক্ত করা হয়েছে, সেভাবেই পরিধেয় পোশাককে বিষাক্ত রাসায়নিকের প্রভাব মুক্ত করা হবে। শুধু ক্যালিফোর্নিয়া নয়, পুরো দেশই ক্ষতিকর কেমিক্যাল মুক্ত পোশাকের সুবিধা ভোগ করতে পারবে। 


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...