কোজি, লুলা, নায়া, কেগালা ও অ্যারি নামের পাঁচ মিরক্যাটকে ২০১৩ সালে চিড়িয়াখানায় আনা হয়। পাঁচ সদস্যের সবাই অসুস্থ হয়ে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে মারা যায়।
এপির খবর অনুযায়ী, মিরক্যাটগুলোর দেহে ১ জুন রঙ ব্যবহার করা হয়। তার ৩০ মিনিট পরেই একটি মিরক্যাটকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায় ও বাকি চারটি মিরক্যাটের দেহে অসুস্থতার লক্ষণ প্রকাশ পায়।
চিড়িয়াখানার কর্মকর্তারা ইউএস ডিপার্টমেন্ট অফ এগ্রিকালচার ও অ্যাসোসিয়েশন অফ যুস অ্যান্ড অ্যাকুরিয়ামের সঙ্গে মিরক্যাটগুলোর মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে কাজ করছেন।
কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রাণীগুলোর নেক্রোপসি এখনও বাকি রয়েছে। তাদের ধারণা, মিরক্যাটগুলোকে চিহ্নিত করতে ব্যবহৃত রঙ ভুলবশত খেয়ে ফেলায় বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।
ফিলাডেলফিয়া চিড়িয়াখানার কর্মকর্তা অ্যামি শিয়ারার বলেন, ‘আমাদের সন্দেহ মিরক্যাটগুলো ভুলবশত বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেলেছে।’
তিনি জানান, চিড়িয়াখানার একই প্রজাতির প্রাণীদের একে অপরের থেকে আলাদা করতে নানজোল-ডি নামের বিশেষ ধরণের রঙ ব্যবহার করা হয়।
তিনি সিবিএস নিউজকে বলেন, ‘আমরা ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রাণীদেহে এই রঙ ব্যবহার করছি।’
চিড়িয়াখানার অ্যানিম্যাল ওয়েলবিয়িংয়ের ভাইস প্রেসিডেন্ট রেইচেল মেটস বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা মিরক্যাটগুলোর শোক কাটিয়ে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন। তারা নিজ পরিবারের চেয়েও বেশি সময় চিড়িয়াখানার প্রাণীদের সঙ্গে কাটান।
‘প্রাণীদের সঙ্গে তাদের বন্ধন অতি গভীর। স্পষ্টতই তারা ভেঙ্গে পড়েছেন।’