পুনর্নির্বাচনি প্রথম সমাবেশে বাইডেন

টিবিএন ডেস্ক

জুন ১৮ ২০২৩, ১৫:০৯

ফিলাডেলফিয়া কনভেনশন সেন্টারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

ফিলাডেলফিয়া কনভেনশন সেন্টারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশের সময় বক্তব্য রাখছেন প্রেসিডেন্ট ডো বাইডেন। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

২০২৪ সালে অ্যামেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ফিলাডেলফিয়ায় শনিবার সমাবেশের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রচার শুরু করেছেন জো বাইডেন।

এর আগে ২০২০ সালেও বাইডেনের প্রচারাভিযানের কেন্দ্রবিন্দু ছিল ফিলাডেলফিয়া।

অ্যামেরিকান ফেডারেশন অফ লেবার অ্যান্ড কংগ্রেস অফ অরগানাইজেশনস (এএফএল-সিএলও) শনিবারের সমাবেশটির আয়োজন করে। এএফএল-সিএলও ৬০টি ইউনিয়ন ১২.৫ মিলিয়নের বেশি শ্রমিকের প্রতিনিধিত্ব করে। এএফএল-সিএলও এই সপ্তাহে জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে তারা প্রেসিডেন্ট বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কামালা হ্যারিসকে সমর্থন করবে।

প্রায় দুই হাজার ইউনিয়ন সদস্যের সামনে বাইডেন বক্তৃতা রাখেন। তিনি বলেন, ‘আমি যখন প্রেসিডেন্সিয়াল নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছিলাম তখন আপনাদের বলেছিলাম আমি আপনাদের সঙ্গে থাকব, আমি আছি। আপনারাও আমার সঙ্গে ছিলেন।’

তিনি বলেন, ‘একবার ভেবে দেখুন আমরা কী অবস্থায় অফিসে এসেছিলাম। আমার দায়িত্ব গ্রহণের সময় অফিসের অবস্থা কেমন ছিল, আর আজ আমরা কী অবস্থায় আছি।’

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের আগে অ্যামেরিকার ফার্স্ট লেডি জিল বাইডেন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, ‘জো-এর যে বিষয়টি আমি পছন্দ করি তা হলো তিনি অকল্পনীয় ট্র্যাজেডির মুখোমুখি হয়েও প্রচণ্ড আশাবাদী একজন মানুষ। তার ধৈর্যশক্তি অটুট।

‘তিনি তার কাজ কাজ শেষ করার জন্য প্রস্তুত। তিনি আপনাদের সহায়তায় জয়ী হতে প্রস্তুত, তিনি জয়ী হবেন।’

বাইডেনের প্রথম প্রচারের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো মূলত তার অর্থনৈতিক জয়ের জায়গাগুলো। জরিপগুলো লক্ষ্য করলে দেখা যায়, অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য অনেকে তাকে দোষারোপ করছেন। বিশেষ করে করোনা মহামারির পর দ্রব্যমূল্য বেড়ে যাওয়ায় অনেক ভোটার মনে করেন এজন্য বাইডেন দায়ী।

সমাবেশে বাইডেন সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানগুলো তুলে ধরেন। তিনি দেখিয়েছেন, মুদ্রাস্ফীতি কমছে। এই সমস্যাগুলো বেশিদিন থাকবে না।

এএফএল-সিএলও এর প্রেসিডেন্ট লিজ শুলার বলেন, ‘এ পর্যন্ত সব প্রেসিডেন্টের মধ্যে নিঃসন্দেহে জো বাইডেনই ইউনিয়নের জন্য নিবেদিতপ্রাণ। আমাদের পেনশন থেকে শুরু করে অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সব ক্ষেত্রে অর্থনীতির পুনর্গঠনে এত অক্লান্ত পরিশ্রম অন্য কোনো প্রেসিডেন্টকে করতে আমরা দেখিনি।’

সব ইউনিয়ন অবশ্য বাইডেনের পুনঃনির্বাচন সমর্থন করেনি। ইউনিয়নের শক্তিশালী দল ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্স গত মাসে বলেছে, তারা বাইডেনকে সমর্থন জানাবে না। বাইডেনের যানবাহন সম্পর্কিত নতুন নীতির বিষয়ে তারা উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

নতুন এই নীতিতে বলা আছে বলা হয়েছে, ২০৩২ সালের মধ্যে অ্যামেরিকার যাত্রীবাহী গাড়ির দুই-তৃতীয়াংশ এবং নতুন ভারী ট্রাকগুলোর এক-চতুর্থাংশ সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ডিজাইন করতে হবে। আইনটি বাস্তবায়িত হলে অটোশিল্প ক্ষতির সম্মুখীন হবে।

ইউনাইটেড অটো ওয়ার্কার্স ইউনিয়নে ৪০০ হাজার সদস্য আছেন। গত নির্বাচনে তারা বাইডেনকে সমর্থন করেছিলেন।


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন