শেখ হাসিনার দেশ পরিচালনার স্বীকৃতি জাতিসংঘেও: হাছান মাহমুদ

টিবিএন ডেস্ক

মে ১৮ ২০২৩, ২২:০৬

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস

সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: বাসস

  • 0

বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করেছে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন ও জনগণের জন্য তার কাজকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দিয়েছে।

তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চিন্তাপ্রসূত কমিউনিটি ক্লিনিক ব্যবস্থা জাতিসংঘে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ শিরোনামে প্রস্তাব হিসেবে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। এতেই প্রমাণিত হয় আজকে জাতিসংঘ শেখ হাসিনার প্রশংসা করে এবং তার সরকার পরিচালনার ধরন এবং জনগণের জন্য তার যে কাজ এটিকে জাতিসংঘও স্বীকৃতি দেয়।” 

বাসস জানায়, বাংলাদেশ সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন মন্ত্রী। 

তিনি বলেন, “জাতিসংঘে ১৬ তারিখে যখন ‘শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ প্রস্তাবটি পাস হয়েছে, তখন আমাদের এখানে ১৭ তারিখ অর্থাৎ কাকতালীয়ভাবে তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিন। বিশ্বের ৭১টি দেশ বাংলাদেশের সঙ্গে এই প্রস্তাব কো-স্পন্সর করেছে যা জাতিসংঘে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে।” 

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের মন্তব্য ‘মোখা’র মতো রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা ঝড় আসছে -এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে হাছান মাহমুদ বলেন, “আশ্চর্যের  বিষয়, একটি প্রাকৃতিক ঘূর্ণিঝড় আমাদের দেশের উপকূলে আঘাত হানার পূর্বক্ষণে মানুষ যখন আতংকিত-শংকিত, মানুষ যখন জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত, সে সময় কোথায় ‘মোখা’ যাতে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে না পারে সে জন্য মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কথা, সেটি না করে বরং সেটিকে নিয়ে রাজনীতির সঙ্গে মেলানো এবং উপহাস করা একজন রাজনীতিবিদের সাজে না।” 

“আর এখন তো ‘মোখা’ পাশ কাটিয়ে চলে গেছে, ‘মোখা’র মতোই বিএনপির আন্দোলনও পাশ কাটিয়ে চলে যাচ্ছে”- এমন মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হাঁটা শুরু করছে, হাঁটুক। উনারা কিছুদিন আগে হেঁটেছেন এখন আবার সমাবেশ করবেন বলছেন, আবার পদযাত্রা কর্মসূচিও না কি দেবেন। উনারা হাঁটাহাঁটি করলে ভালো।’

বিদেশি কূটনীতিকদের নিরাপত্তা দেয়ার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান বলেন, ‘সব কূটনীতিককে নিরাপত্তা দেয়া হয়। কিন্তু দেশে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর কয়েকজন কূটনীতিককে বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিল। আমাদের সরকার অত্যন্ত সফলভাবে জঙ্গিদের দমন করতে সক্ষম হয়েছে। জঙ্গি দমনে আমরা অনেক উন্নত বড় দেশের চেয়েও বেশি সক্ষমতা দেখাতে পেরেছি। বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর থেকে এ রকম বাড়তি নিরাপত্তা কূটনীতিকদের দেয়া হতো না। কয়েক জন কূটনীতিককে জঙ্গি তৎপরতা বৃদ্ধি পাওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা দেয়া হয়েছিলো। সেটি এখন যেহেতু প্রয়োজন নেই, সে জন্য প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু তাদের নিরাপত্তা অব্যাহত আছে।’ 

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘এর পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এটাও সুস্পষ্ট করেছেন, কেউ যদি বাড়তি নিরাপত্তা সরকারের কাছে চায় এবং সে জন্য প্রয়োজনীয় ব্যয় নির্বাহ করে, তাদের সেটি দেয়া যেতে পারে। আর এ ক্ষেত্রে কোনো দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কোনো বিষয় নেই, এটি রুটিন ওয়ার্ক।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন