৪৩ বছর পর জানা গেল মরদেহটি প্যাট্রিসিয়া গ্রিনউডের

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ৮ ২০২৩, ২১:১৭

৪৩ বছর পর জানা গেল মরদেহটি প্যাট্রিসিয়া গ্রিনউডের
  • 0

এখন থেকে ৪৩ বছর আগের কথা। ওহাইও স্টেইটের স্যান্ডুস্কি শহরের লেক এরি থেকে উদ্ধার করা হয় এক নারীর মৃতদেহ। শরীরে আংশিক পচন ধরেছে, তবে পরনের পোশাক তখনও সুসজ্জিত।

নারীর দেহে খুনের আলামত পরিষ্কার। তবে দীর্ঘ তদন্তেও হত্যার মোটিভ, এমনকি নারীর পরিচয় বের করতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। শেষপর্যন্ত মামলাটি চলে যায় হীমঘরে।   

তবে চার দশকেরও বেশি সময় পর ডিএনএ প্রযুক্তি বেওয়ারিশ ওই নারীর পরিচয় উদ্ঘাটন করেছে। চলতি বছরের ৩০ মার্চ স্যান্ডুস্কির পুলিশ বিভাগ জানায়, ‘ডিস্কো স্টাইলের’ পোশাক পরা নারীটির নাম প্যাট্রিসিয়া গ্রিনউড। তার স্বজনদেরও খুঁজে পাওয়া গেছে। 

পুলিশ বিভাগের গোয়েন্দা কর্মকর্তা এরিক কস্ট্যান্ট, ‘আমরা অবশেষে বেওয়ারিশ ওই নারীর প্রকৃত নাম জানতে সক্ষম হয়েছি।‘

কয়েক দশকের পুরোনো মামলাটির সুরাহা করায় ব্যর্থতা প্রায় মেনে নিয়েছিল ওহাইও পুলিশ। তবে শেষপর্যন্ত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে কঙ্কাল থেকে সংগ্রহ করা ডিএনএ দিয়ে তারা ওই নারীর ফ্যামিলি ট্রি তৈরি করতে সক্ষম হন। আর এর পরেই পাওয়া যায় স্বজনদের সন্ধান। উদ্ঘাটিত হয় তার প্রকৃত নাম ও পরিচয়।     

ওহাইওতে এভাবে শনাক্তহীন বহু মরদেহের পরিচয় ডিএনএ প্রযুক্তির মাধ্যমে খুঁজে বের করায় আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে ‘পোর্চলাইট প্রজেক্ট’ নামের একটি অলাভজনক সংস্থা। প্যাট্রিসিয়া গ্রিনউডের পরিচয় বের করতেও তারা সহায়তা দিয়েছে বলে সংস্থাটির ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। 

পুলিশ জানায়, ট্রাভার্স সিটি, বে সিটি ও সাগিনাওসহ মিশিগানের বেশ কয়েকটি শহরে গ্রিনউড বসবাস করেছেন। তিনি এমন একটি পরিবারের সদস্য ছিলেন যারা মিশিগান স্টেইটের বিভিন্ন জায়গা থেকে ১২টি শিশু দত্তক নিয়েছিল। 

গ্রিনউডের কয়েক ভাইবোন এখনও জীবিত। তাদের ধারণা, গ্রিনউড একজন যৌনকর্মী হয়ে থাকতে পারেন। যখন নিখোঁজ হন তখন তার বয়স ছিল ৩২ বছর। 

গোয়েন্দা কর্মকর্তা এরিক কস্ট্যান্ট বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধারের সময় গ্রিনউডের শরীরের ডান দিকে দৃশ্যমান আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার একটি উরুর হার ও কোমড় ভাঙা ছিল। প্রকৃতপক্ষে কীভাবে তিনি মারা গেলেন তা খুঁজে বের করাই আমাদের পরবর্তী লক্ষ্য।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন