ব্রডব্যান্ড আর বিলাসিতা নয়, এটি প্রয়োজনীয়তা: জিনা রাইমন্ডো

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৮ ২০২৩, ১৫:৫৩

অ্যামেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাই স্পিড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে। ছবি: সংগৃহীত

অ্যামেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাই স্পিড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করা হবে। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

অ্যামেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলে হাই স্পিড ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিতে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছেন বাইডেন প্রশাসনের কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমন্ডো।

বহু অ্যামেরিকান ইন্টারনেটের উচ্চগতিকে গুরুত্ব দেন না, অথচ একই সময়ে অ্যামেরিকার অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাসিন্দারা ইন্টারনেটের অভাবে অনলাইনেও যেতে পারছেন না। 

এ সমস্যা সমাধানে অ্যামেরিকার সরকার ব্রডব্যান্ড সেবা সম্প্রসারিত করে ডিজিটাল ডিভাইড ব্রিজ তৈরির গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এর ফলে প্রত্যন্ত অঞ্চলেও উচ্চগতির ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত হবে। 

ফেডারেল কমিউনিকেশন কমিশনের (এফসিসি) সাম্প্রতিক তথ্য থেকে দেখা যায়, অ্যামেরিকার ৮.৩ মিলিয়নেরও বেশি বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড সেবা নেই। 

এফসিসি জানিয়েছে, শুধু ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার ক্লে কাউন্টিতেই প্রায় এক তৃতীয়াংশ বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উচ্চগতির ব্রডব্যান্ড অ্যাক্সেস নেই। 

ক্লে কাউন্টির বাসিন্দা অ্যামান্ডা মুর জানান, তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে পেশাদার ফটোগ্রাফি করেন। ফাইল আপলোড করার জন্য প্রয়োজন উচ্চগতির ইন্টারনেট। তবে তার কাছে কোনো ব্যান্ডউইথ সেবা ছিল না। অনলাইনে যেতে না পারলে তিনি আর মডেম রিসেট করেন না, বরং ল্যাপটপ নিয়ে বাড়ির পেছনের পাহাড়ে উঠে হট স্পটের সংযোগ খুঁজে বেড়ান। 

তিনি নিজ এলাকায় ইন্টারনেটের দুষ্প্রাপ্যতা নিয়ে প্রতিবেশীদের লড়াইয়ের বিষয়ে রসিকতা করে বলেন, ‘এটি অনেকটা প্রিয় দোকানে কেনাকাটার সময় প্রিয় জামাটা ভাগ করার মতোই। আমরা ইন্টারনেটের সিগন্যাল পেতে প্রিয় জায়গা ভাগ করি।’

কমার্স সেক্রেটারি জিনা রাইমন্ডো অ্যামেরিকার প্রত্যন্ত অঞ্চলের ব্রডব্যান্ড সেবা উন্নত করতে বাইডেন প্রশাসনের ৬৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। ব্রডব্যান্ড সেবা আরও উচ্চগতি করার অংশ হিসেবে ২০২১ সালে বাই পার্টেশিয়ান ল সই করা হয়। 

বাইডেন প্রশাসন চেষ্টা করছে মুরের মতো ইন্টারনেট সেবাবিহীন পরিবারকে সাহায্য করতে। তাদের লক্ষ্য আগামী পাঁচ বছরের ভেতর সবার জন্য ব্রডব্যান্ড সেবা নিশ্চিত করা। তার পাশাপাশি ইউটিলিটির খরচ কমানোর একটি পরিকল্পনাও রয়েছে সরকারের। 

রাইমন্ডো বলেন, ‘ব্রডব্যান্ড আর বিলাসিতা নয়, এটি একটি প্রয়োজনীয়তা।’

চায়নার সঙ্গে বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতা ধরে রাখার জন্য উচ্চ গতির ইন্টারনেট অ্যাক্সেস ‘অত্যাবশ্যক’। 

তিনি বলেন, ‘অ্যামেরিকার লিঙ্গ, বর্ণ, অঞ্চল, বয়সভেদে সবার জন্য ইন্টারনেট প্রয়োজন। এই সেবা নিশ্চিত করতে না পারলে আমরা অ্যামেরিকানদের প্রতিভা হারাবো। তারাই আমাদের শক্তিশালী করে তুলবে।’

এখন থেকে অ্যামেরিকার প্রতিটি স্টেইট ব্রডব্যান্ড অ্যাক্সেস আরও প্রসারিত করতে ফেডারেল তহবিল পাবে। এফসিসি কভারেজের সাম্প্রতিক ম্যাপের উপর ভিত্তি করে কোন স্টেইটে কী পরিমাণ বিনিয়োগ করা হবে তা জুনের শেষে প্রকাশ করা হবে। তবে এই পরিকল্পনার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন হতে এখনও দীর্ঘ পথ বাকি। 

রাইমন্ডো বলেন, ‘আমাদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ টপোগ্রাফি।

‘দেশের পশ্চিমাঞ্চল পাহাড়ি এলাকা। সেখানে শারীরিক প্রবেশও বেশ কষ্টসাধ্য। তবে আমরা লক্ষ্যে পৌঁছাবোই।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন