তাজমহলের লাল সীমানা দেয়াল ছুঁয়েছে বন্যার পানি। ছবি: সংগৃহীত
0
উত্তর ভারত জুড়ে গত তিন সপ্তাহের টানা বৃষ্টিতে যমুনা নদীর পানি বেড়ে ঐতিহাসিক তাজমহলের বাইরের সীমানা প্রাচীর ছুঁয়েছে। দেশটিতে বুধবার পর্যন্ত রেকর্ড বৃষ্টির পর ডুবে গেছে তাজমহলের একটি বাগান।
বন্যায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। উত্তর ভারতের নিম্নাঞ্চলের বাড়িঘর ও সেতু তলিয়ে গেছে। কিছু শহরে মারাত্মক ভূমিধসেরও খবর পাওয়া গেছে।
তাজমহল পরিদর্শনে যাওয়া একদল পর্যটক বুধবার জানিয়েছেন, স্থাপনাটির বাইরের লাল বেলেপাথরের সীমানা প্রাচীরটিতে যমুনা নদীর পানি পৌঁছেছে।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক বছরগুলোতে তারা সীমানা প্রাচীর পর্যন্ত নদীর পানি পৌঁছাতে দেখেননি। যমুনা নদীর উপচে পড়া পানিতে তাজমহলের কাছাকাছি নিচু ঘরগুলো ডুবে গেছে। এসব বসতির মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
দিল্লির আগ্রা শহরে ১৭ শতকে সাদা পাথরের তাজমহল নির্মাণ করা হয়েছিল। উত্তর ভারতে ভারী বন্যায় পৃথিবীর সপ্তাশ্চর্যের অন্যতম নিদর্শন তাজমহলের মূল অংশে পানি ঢোকার শঙ্কা জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দা ও কর্মকর্তারা বলেছেন, এর আগে ২০১০ সালে শেষবার যমুনা নদীর পানি তাজমহলের সীমানা প্রাচীর স্পর্শ করেছিল। তবে মূল অংশে প্রবেশ করেনি।
কর্মকর্তারা জানান, ১৯৭৮ সালে বন্যার পানিতে তাজমহলের বেজমেন্ট ডুবে গিয়েছিল। অবশ্য এবার তেমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির সম্ভাবনা নেই।
তাজমহল পরিচালনাকারী আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার একজন মুখপাত্র বলেছেন, যমুনা নদীর বর্ধিত জলস্তরের কারণে আইকনিক এ স্থাপনার কোনো হুমকি নেই।
তাজমহলের সংরক্ষণ সহকারী প্রিন্স ভাজপায়ী প্রেস ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়াকে বলেন, ‘স্থাপনাটি একটি উঁচু কাঠামোর ওপর নির্মিত। এখনও বন্যার পানি মনুমেন্টটির জন্য কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’