বিদ্রোহের পর প্রথমবার জনসম্মুখে ভাগনার প্রধান

টিবিএন ডেস্ক

জুলাই ২০ ২০২৩, ৩:৫২

ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।

ভিডিও থেকে নেয়া ছবি।

  • 0

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বুধবার এক ভাইরাল ভিডিওতে বেলারুশে রাশিয়ান ভাড়াটে মিলিশিয়া বাহিনী ভাগনারের প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে দেখা গেছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে গত মাসে সশস্ত্র বিদ্রোহের পর বেলারুশে ভাগনার সেনাদের শুভেচ্ছা জানাতে প্রথমবারের মতো জনসম্মুখে হাজির হলেন তিনি।

প্রো-ভাগনার টেলিগ্রাম চ্যানেলে বুধবার পোস্ট করা ওই ভিডিওতে দেখা যায়, বেলারুশে ভাগনার সেনাদের বরণ করে নিচ্ছেন প্রিগোজিন। তিনি বলেন, ‘আপনাদের সবাইকে স্বাগতম! আপনাদের সবাইকে শুভেচ্ছা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। বেলারুশিয়ান ভূমিতে আপনাদের স্বাগতম। আমরা রাশিয়ার জন্য অনেক কিছু করেছি।’

ভিডিওতে প্রিগোজিনের অস্পষ্ট দেহাকৃতি ও তার কণ্ঠস্বরের মতো কণ্ঠস্বরে এক ব্যক্তিকে কথা বলতে দেখা যায়। ভিডিওটি এরপর প্রিগোজিনের টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকেও শেয়ার করা হয়।

গত মাসে ভাগনারের সশস্ত্র বিদ্রোহ রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দীর্ঘ শাসনামলের মধ্যে অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে একটি। ইউক্রেইনে রাশিয়ান আগ্রাসনে অন্যতম সহযোগী হিসেবে ভূমিকা রেখেছিল প্রিগোজিনের ভাগনার মিলিশিয়া বাহিনী।

তবে পুতিনের শক্ত অবস্থানে তাদের বিদ্রোহ ব্যর্থ হয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রিগোজিনের অবস্থান জানা যায়নি।

বেলারুশ সেনাবাহিনীকে অনুশীলনে সাহায্য করতে মঙ্গলবার বেলারুশ পৌঁছেছে ভাগনার বাহিনী। তাদের স্বাগত জানিয়েছেন বেলারুশের প্রেসিডেন্ট অ্যালেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো।

টেলিগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, একজন ভাগনার সেনা প্রিগোজিনের ফার্স্ট নেইম ‘ইয়েভগেনি ভিক্টোরোভিচ’ ধরে তাকে সম্বোধন করছেন।

অসম্পাদিত ও অসম্পূর্ণ ভিডিওর মেটাডেটা থেকে ধারণা করা হচ্ছে, সেটি মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কিংবা বুধবার ভোরে ধারণ করা হয়েছে।

খুবই কম আলোতে ধারণ করা ভিডিওটি অস্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হওয়ার কারণে সেটির সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।

ভাগনার নেতা ভিডিওতে ইউক্রেইনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা ও সামরিক অভিযান পরিচালনার সমালোচনা করেছেন। এ সময় তিনি ঘোষণা দেন, ভাগনার সৈন্যরা আপাতত আর ইউক্রেইনে যুদ্ধ করবে না।

তিনি বলেন, ‘এখন আমাদের সামনে যা ঘটছে তা খুবই অপমানজনক। এতে আমাদের অংশ নেয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। আমাদের সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করতে হবে যখন আমরা নিজেদের সম্পূর্ণভাবে প্রমাণ করতে পারব।’

প্রিগোজিন তার সেনাদের উদ্দেশে বলেন, ‘আমাদের কিছু সময়ের জন্য বেলারুশে অবস্থান করতে হবে। আমি নিশ্চিত এই সময়ের মধ্যে আমরা বেলারুশিয়ান সেনাবাহিনীকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম হিসেবে গড়ে তুলতে পারব। আমাদের যদি বেলারুশের হয়ে যুদ্ধ করার প্রয়োজন হয় তবে সেটিও করব।’

তিনি বেলারুশ সরকারের প্রশংসা করে বলেন, ‘আমি সবাইকে জানাতে চাই, বেলারুশিয়ানরা আমাদের শুধু নায়ক হিসেবে নয়, নিজেদের ভাই হিসেবেও স্বাগত জানিয়েছে। আমি চাই, আপনারাও বিষয়টির ওপর দৃষ্টি দেবেন।’

অবশ্য যেকোনো সময় ভাগনার বাহিনীকে বেলারুশ ছাড়তে হতে পারে বলে ইঙ্গিত দেন প্রিগোজিন। তার সেনাদেরও সে হিসেবে প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের উচিত যেকোনো পরিস্থিতির জন্য নিজেদের প্রস্তুত রাখা। প্রয়োজনে আরও কঠোর অনুশীলনের মাধ্যমে নিজেদের যোগ্য করে তোলা উচিত। বেলারুশ থেকে আমরা আফ্রিকার দিকে যাত্রা করতে পারি।

‘হয়ত আমাদের (ইউক্রেইনে) ফিরে যেতে হবে। তবে আমরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ফিরতে চাই। আমাদের অভিজ্ঞতা যেন কিছুতেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’


0 মন্তব্য

মন্তব্য করুন