সাহেল অঞ্চলের কিছু অংশে ভাগনারের আত্মপ্রকাশ নিয়ে অ্যামেরিকা উদ্বিগ্ন ছিল উল্লেখ করে ব্লিনকেন বলেন, ‘আমি মনে করি নাইজারে যা ঘটেছে বা ঘটছে সেটি রাশিয়া বা ভাগনারের মাধ্যমে প্ররোচিত হয়নি… তবে তারা এর ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে।’
ভাগনার গোষ্ঠী প্রতিটি জায়গায় পৌঁছে গেছে; তারা মৃত্যু, ধ্বংস এবং শোষণকে প্রতিনিয়ত অনুসরণ করছে বলেও জানান ব্লিনকেন।
দুই সপ্তাহ আগে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বাজুমকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর দেশটি সামরিক জান্তার মাধ্যমে শাসিত হচ্ছে। ক্ষমতায় টিকে থাকতে তারা প্রতিবেশী মালিতে থাকা ভাগনার গ্রুপের সাহায্য চেয়েছে।
এর মাঝেও জল্পনা রয়েছে, নাইজারের সেনাবাহিনী ভাগনারকে সহায়তা দেয়ার জন্য বলেছে কেননা দেশটি সামরিক শাসন সম্ভাবনার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে।
বর্তমানে বন্দি থাকা বাজুম আফ্রিকাতে ভাগনারের প্রভাব সম্পর্কে তার উদ্বেগের কথা স্বীকার করে বলেন, ‘অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রকারী এবং তাদের আঞ্চলিক মিত্রদের খোলা আমন্ত্রণে, পুরো মধ্য সাহেল অঞ্চলে ভাগনার গ্রুপের মাধ্যমে রাশিয়ার ভয়ংকর প্রভাব পড়তে পারে…।’
ভাগনার যোদ্ধারা নাইজারে প্রবেশ করেছে কি-না সেটি স্পষ্ট নয়। তবে ভাগনার-অধিভুক্ত টেলিগ্রাম চ্যানেল ‘গ্রে জোন’ সোমবার বলেছে, তাদের প্রায় ১,৫০০ যোদ্ধাকে সম্প্রতি আফ্রিকায় পাঠানো হয়েছে।
তবে কোন কোন অঞ্চলে তাদের মোতায়েন করা হয়েছে তা উল্লেখ করা হয়নি।
ভাগনারপ্রধান ইয়েভগিনি প্রিগোযিন মঙ্গলবার টেলিগ্রামে আপলোড করা একটি ভয়েস বার্তায় প্রয়োজন হলে জান্তাকে ‘ডাক দিতে’ আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা সবসময় ভালোর পক্ষে, ন্যায়ের পক্ষে এবং যারা তাদের সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকারের জন্য লড়াই করে তাদের পক্ষে।’
সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক (সিএআর) এবং মালিসহ অন্যান্য দেশগুলোতে ভাগনারের হাজার হাজার যোদ্ধা রয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তাদের বিরুদ্ধে আফ্রিকার কয়েকটি দেশে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে।