নথি জব্দ: ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত ট্রাম্প

টিবিএন ডেস্ক

জুন ৯ ২০২৩, ১১:৩৭

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

  • 0

রাষ্ট্রীয় গোপন নথি জব্দের ঘটনায় ফৌজদারি তদন্ত শেষে অভিযুক্ত করা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পকে। তার বিরুদ্ধে ন্যায়বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্রসহ সাতটি অভিযোগ তুলেছে ফেডারেল গ্র্যান্ড জুরি।

নিজের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ‘ট্রুথ সোশ্যালে’ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পোস্ট দিয়ে নিজেই এ খবর জানিয়েছেন এই রিপাবলিকান নেতা। দিনটিকে একটি ‘অন্ধকার দিন’ বলে তিনি আখ্যায়িত করেছেন। নিজেকে নির্দোষ দাবি করে বলেছেন, এই তদন্ত ছিল ধাপ্পাবাজি।

এই মামলায় আগামী মঙ্গলবার মায়ামির ফেডারেল কোর্টে তাকে হাজির হতে বলা হয়েছে।  

আগামী প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য প্রচারকাজে ব্যস্ত লাল শিবিরের এই নেতা। এর মধ্যেই দুটি ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হলেন তিনি। 

ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প বলেন, ‘আমি কখনই ভাবিনি যে অ্যামেরিকার একজন সাবেক প্রেসিডেন্টের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটতে পারে। তাও আবার এমন একজনের সঙ্গে তা ঘটল, যে কিনা ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জরিপে দেশের ইতিহাসে যে কোনো বর্তমান প্রেসিডেন্টের চেয়ে অনেক বেশি ভোট পেয়েছেন। জরিপে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সব প্রার্থীর মধ্যে আমিই এগিয়ে। আমি নির্দোষ।’

ট্রাম্পের ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোর বাড়ি থেকে গত বছরের আগস্টে উদ্ধার করা হয় ক্লাসিফায়েড নথিগুলো। রাষ্ট্রীয় নথির অব্যবস্থাপনা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট। 

এই ঘটনার তদন্তে ফ্লোরিডায় আরেকটি গ্র্যান্ড জুরি গঠনের কথা মঙ্গলবার প্রকাশ্যে আসে। আইন বিশ্লেষকরা বলছেন, গোপন নথি উদ্ধারের ঘটনাস্থল ফ্লোরিডা হওয়ায় অভিযোগ গঠনের ক্ষেত্রে সম্ভাব্য আইনি জটিলতা এড়াতেই এই পদক্ষেপ নেয় জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।

সাবেক হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি এবং সাবেক ইউএস অ্যাটর্নি জে জনসন বলেন, অনেক মামলা শুধুমাত্র ঘটনাস্থলে না হওয়ার কারণে খারিজ হয়ে যায়। তাই গোপন নথির মামলা ফ্লোরিডায় নিয়ে আসা সঠিক সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এবিসি নিউজের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগগুলো হলো, রাষ্ট্রীয় প্রতিরক্ষা বিষয়ক তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবে নিজ জিম্মায় রাখা, ন্যায়বিচারে ব্যাঘাত ঘটনোর ষড়যন্ত্র করা, নথিপত্র আটকে রাখা, অসৎ উদ্দেশ্যে নথি গোপন করা, ফেডারেল তদন্তে একটি নথি লুকিয়ে ফেলা, গোপন করার পরিকল্পনা করা এবং মিথ্যা বিবৃতি ও বানোয়াট তথ্য উপস্থাপন করা।

এসব অভিযোগ প্রমাণিত হলে ট্রাম্পের সর্বনিম্ন পাঁচ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।

অন্যদিকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের বাড়িতে নথি পাওয়ার ঘটনায় ফেডারেল তদন্ত শেষ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে জানা গেছে। এর আগে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের বাড়িতে নথি পাওয়ার ঘটনার তদন্ত থেকে অব্যহতি দিয়েছে জাস্টিস ডিপার্টমেন্ট।

এর আগে ব্যবসায়িক জালিয়াতির একাধিক অভিযোগে অভিযুক্ত হন ট্রাম্প, হাজির হন আদালতেও। দেশের ইতিহাসে এই প্রথম কোনো প্রেসিডেন্ট বা সাবেক প্রেসিডেন্টকে ফৌজদারি মামলায় কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয়েছে। ওই মামলার বিচার চলছে নিউ ইয়র্কে।


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...