একটি টি-শার্ট জড়ানো খেলনা বন্দুক হাতে শ্রোতাদের উদ্দেশে অ্যাডেল বলেন, ‘মানুষ কি শিষ্টাচার ভুলে গেছে… আমার দিকে কিছু ছুড়ে মারো তো দেখি কেমন পারো!’
পারফরম্যান্সের সময় ভিড়ের মধ্যে টি-শার্ট ছুড়ে দেয়ার জন্য বিখ্যাত এই সংগীতশিল্পী।
সাম্প্রতিক সময় স্টেজে শিল্পীদের দিকে ব্রেসলেট, মোবাইল, মিষ্টির মতো কিছু পণ্য ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। সেগুলোর প্রতিক্রিয়ায় এমনটা বলেছেন অ্যাডেল।
গত মাসে পপস্টার বেবে রেক্সা মঞ্চে গান করার সময় তার দিকে একটি মোবাইল ছুড়ে মারা হয়। এ ঘটনায় চোখে আঘাত পেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।
গত শনিবার সুইডেনে পারফর্ম করার সময় মঞ্চে ‘সেক্স টয়’ ছোড়া হয় র্যাপার লিল নাস এক্সকে। এর আগে নভেম্বরে একটি কনসার্টে হ্যারি স্টাইলসের চোখে মিষ্টি ছুড়ে মারা হয়।
সম্প্রতি লন্ডনে পিংকের দিকে এক ব্যক্তি নিজের মৃত মায়ের দেহাবশেষের ছাই একটি ব্যাগে করে ছুড়ে মারেন। এ ঘটনায় বেশ অস্বস্তি বোধ করেন পিংক।
এর আগে শিল্পী আভা ম্যাক্সকে মঞ্চে চড় মারা হয়। গত জুনে গায়িকা কেলসি ব্যালেরিনিকে একটি ব্রেসলেট ছুড়ে মারা হয়।
দর্শকদের এমন ট্রেন্ড বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন গায়ক চার্লি পুথ। টুইটারে পুথ লিখেছেন, ‘এ প্রবণতা অবশ্যই থামানো উচিত। এটি অসম্মানজনক একইসঙ্গে বিপজ্জনকও।’
কার্ডিফ ইউনিভার্সিটির লেকচারার লুসি বেনেট ভক্ত ও তাদের প্রিয় গায়কদের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন।
বেনেট জানান, কোভিড মহামারির কারণে দর্শকরা কনসার্টে শারীরিকভাবে উপস্থিত থাকতে পারেননি। এর পর থেকে তাদের মনোভাবে পরিবর্তন আসতে থাকে।
তিনি বলেন, কিছু লোক সোশ্যাল মিডিয়ায় খ্যাতি পেতে শিল্পীদের সঙ্গে এমনটা করে থাকতে পারেন।