এদিন খেলায় ইংলিশদের আক্রমণভাগের মূল অস্ত্র হ্যারি কেইন ছিলেন অনেকটাই নিষ্প্রভ। জুড বেলিংহাম তুলনামূলকভাবে ভালো খেললেও তা আশানুরূপ ছিল না।
তবে ম্যাচ জুড়েই ইংল্যান্ডের হয়ে একাই আলো ছড়িয়েছেন বুকায়ো সাকা। আর্সেনালের এই ফরওয়ার্ড বেশ কয়েকবারই সুইসদের রক্ষণে ফাটল ধরাবার চেষ্টা করেছেন।
খেলায় ইংল্যান্ড ফেভারিট হলেও সুইজারল্যান্ডের সাম্প্রতিক পার্ফর্মেন্সের কারণে তাদেরকে সমীহ করার মতো অনেক কারণই ছিল। এই ম্যাচেও ইংলিশদের বিপক্ষে প্রথম এগিয়ে যায় সুইসরাই।
ম্যাচের ৭৫ তম মিনিটে ইংলিশদের গোলমুখে থাকা ব্রিল এমবোলোকে লক্ষ্য করে বল বাড়ান রুবেন ভারগাস। ইংলিশ সেন্টারব্যাক জন স্টোনস সেটি আটকানোর চেষ্টা করলেও কেবল পা-ই ছোঁয়াতে পেরেছেন। সরাসরি বল পেয়ে গোল করার ক্ষেত্রে কোন ভুল করেননি এমবোলো। তার গোলে ম্যাচে লিড নেয় সুইসরা।
গোল হজমের পর শোধ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে ইংল্যান্ড। আক্রমণাত্মক খেলার জন্য বদলি হিসেবে কোল পালমার, এবেরেচি ও লুক শ-কে মাঠে নামান ম্যানেজার গ্যারেথ সাউথগেট। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ক্লাব সতীর্থ রাসের বাড়ানো বল বাম পায়ের কোনাকুনি শটে জালে জড়ান সাকা।
সমতায় ফেরার পর আক্রমণের পরিমাণ বাড়ান সাউথগেটের শিষ্যরা। পাল্টা আক্রমণ চালাতে থাকেন শাকিরি-জাকারাও। তবে নির্ধারিত সময়ের পর অতিরিক্ত সময়েও কোন গোল না হওয়ায় খেলা টাইব্রেকারে গড়ায়। তাতে ৫-৩ ব্যবধানে জয়ী হয়ে সেমিফাইনালে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
দিনের অপর খেলায় তুর্কিয়েকে ২-১ গোলে হারিয়ে ২০ বছর পর ইউরোর সেমিফাইনালে উঠেছে নেদারল্যান্ডস।
পুরো টুর্নামেন্টেই দুর্দান্ত ছন্দে থাকা তুর্কিয়ে এই ম্যাচেও দারুণ ফুটবল উপহার দেয়। এর ফল ৩৫ মিনিটেই পায় তারা।
ডর্টমুন্ডে গ্রুপ পর্বে পর্তুগালের বিপক্ষে হাস্যকর ভুল করে বসা সেন্টার ব্যাক সামিত আয়কাদিনই এইদিন তুর্কিয়ের হয়ে গোলটি করেন। তুর্কি ফুটবলের ওয়ান্ডার কিড আরদা গুলেরের চোখ ধাঁধানো ক্রসটি একেবারে সরাসরি আয়কাদিনের মাথা লক্ষ্য করে এলে হেড করে তুর্কিয়েকে এগিয়ে দেন তিনি। এতে করে প্রথমবারের মতো ইউরোর সেমিফাইনালে ওঠার স্বপ্ন দেখতে শুরু করে তারা।
তবে প্রথমার্ধে তুর্কিয়ের বিপক্ষে তেম কোন সুযোগ তৈরি করতে না পারলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চাপ বাড়াতে থাকে ডাচরা। এরই ধারাবাহিকতায় ৭০ তম মিনিটে সমতাসূচক গোলটি পেয়ে যায় তারা। কর্নার থেকে ডি বক্সের ভেতর ক্রস করেন মেম্ফিস ডিপাই। এই সময়ে সম্পূর্ণ অরক্ষিত থাকা ডাচ সেন্টার ব্যাক স্টেফান ডি ফ্রাই হেডে গোল করলে সমতায় ফেরে ডাচরা। ছয় মিনিট পরই তুর্কিয়ের আত্মঘাতী গোলে ম্যাচে লিড নেয় তারা। শেষ পর্যন্ত আর কোন গোল না হলে এই ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের সঙ্গী হয় তারা।