এক যৌথ বিবৃতিতে শনিবার জানানো হয়, অ্যামেরিকা ও বৃটেইন আরও কয়েকটি দেশের সহায়তায় এ হামলা চালিয়েছে।
অ্যামেরিকা, বৃটেইন, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, ক্যানাডা, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও নিউ যিল্যান্ডের দেয়া বিবৃতিতে বলা হয়, ‘হুতিদের মাটির নিচের অস্ত্রের গুদাম, ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা ও লঞ্চার, বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও রাডার লক্ষ্য করে আজকের হামলা চালানো হয়েছে।’
হুতিরা জানিয়েছে, অ্যামেরিকা ও বৃটেইন রাজধানী সানাসহ ইয়েমেনের একাধিক প্রদেশে হামলা চালিয়েছে।
হামলার অংশ হিসেবে অ্যামেরিকা দুটি ডেস্ট্রয়ার টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে বলে এক অ্যামেরিকান কর্মকর্তা সিএনএনকে জানিয়েছেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসন এক ড্রোন হামলায় তিন অ্যামেরিকান সেনা নিহত ও ৪০ জনেরও বেশি আহত হওয়ার বিষয়ে ‘বহু-স্তরীয়’ প্রতিক্রিয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়ার পরে বিভিন্ন লক্ষবস্তুতে এসব হামলা চালানো হচ্ছে।
তেহরানের সঙ্গে আঞ্চলিক যুদ্ধ এড়াতে অ্যামেরিকা সরাসরি ইরানকে টার্গেট করেনি। তার বদলে এ অঞ্চলে তাদের সবচেয়ে শক্তিশালী মিলিশিয়া গ্রুপগুলোর ওপর হামলা চালাচ্ছে।
সিএনএন জানিয়েছে, এটি ইরানের নেতৃত্বের কাছে বার্তা প্রেরণের একটি পরোক্ষ উপায়। তবে ইরান এসব গোষ্ঠীকে অর্থ, অস্ত্র ও রসদ সরবরাহ করলেও দেশটির নেতৃত্ব তাদের সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না।
ইয়েমেনের ওপর হামলা ইরাক ও সিরিয়ার হামলা থেকে আলাদা করেই দেখা হচ্ছে। রেড সিতে আন্তর্জাতিক শিপিং লেন এবং অ্যামেরিকান যুদ্ধজাহাজে চলমান হুথি হামলার প্রতিক্রিয়া হিসেবে এই হামলা চালানো হলেও উভয় হামলাই মধ্যপ্রাচ্যে ইরান সমর্থিত গোষ্ঠীগুলোকে টার্গেট করে করা।