ফিফা প্রকাশিত ড্যাটা অনুযায়ী, গ্রুপ পর্বে ৪৮ ম্যাচে এ পর্যন্ত ১২ লাখ ২২ হাজার ৮৩৯ সমর্থক মাঠে উপস্থিত ছিল। চার বছর আগে ফ্রান্সের গ্রুপ পর্বের ৪৮ ম্যাচের তুলনায় যা ২৯ শতাংশ বেশি।
এবারের বিশ্বকাপে গড়ে প্রতিদিন ২৫ হাজারের কিছু বেশি দর্শক মাঠে উপস্থিত ছিল। সাধারণত নিউ যিল্যান্ডের তুলনায় অস্ট্রেলিয়ায় দর্শকের উপস্থিতি বেশি লক্ষ করা গেছে।
ডানেডিনে কোস্টা রিকার বিরুদ্ধে জাপানের ২-০ গোলের জয়ের ম্যাচটি দেখেছে ৭ হাজারের কম মানুষ। এই ম্যাচটিতে সবচেয়ে বেশী আসন খালি পড়েছিল।
এ পর্যন্ত ১৭ লাখ ১৫ হাজার টিকেট বিক্রি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১.৩ মিলিন টিকিট বিক্রয়ের লক্ষ ছিল, যা গ্রুপ পর্বেই ছাড়িয়ে গেছে।
ফিফা নারী ফুটবল প্রধান সারাই বারেমান বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘আমি আত্মবিশ্বাসী ফাইনাল পর্যন্ত ১.৯ মিলিয়ন ভক্ত স্টেডিয়ামের গেটে পা রাখবে। টুর্নামেন্ট এখনও পর্যন্ত চমৎকারভাবে এগিয়ে চলছে। অনেক দিক থেকেই যা আমাদের প্রত্যাশাকে ছাড়িয়ে গেছে। সারা বিশ্বজুড়ে টেলিভিশন সম্প্রচারের দিক থেকেও ইতিবাচক সাড়া পাওয়া গেছে।’
নেদারল্যান্ডস-এর বিপক্ষে টিম ইউএসএ-র ম্যাচটি অ্যামেরিকায় সবচেয়ে বেশি মানুষ টিভিতে উপভোগ করেছে।
বারেমান জানান, এবারের বিশ্বকাপে এটাই প্রমাণিত হয়েছে নারী ফুটবল অনেকদুর এগিয়েছে। শীর্ষ দেশগুলোর মধ্যে অনেকেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। গতবারের ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ, রানার্স-আপ জার্মানি, ইটালি, ব্রাযিল ও অলিম্পিক চ্যাম্পিয়ন ক্যানাডা নক আউট পর্বে যেতে পারেনি। তাদের পরিবর্তে শেষ ষোলোয় উঠেছে মরক্কো, নাইজেরিয়া, জ্যামাইকা ও সাউথ আফ্রিকা।