বর্ণবাদী মন্তব্য ও বিষোদগারের অভিযোগে ৪ কাউন্টি কর্মকর্তাকে পদত্যাগের আহ্বান

টিবিএন ডেস্ক

এপ্রিল ১৮ ২০২৩, ২১:২৪

ম্যাককার্টেন কমিশনার মিটিংয়ে ওকলাহোমা মেয়র ক্রেইগ ইয়াং

ম্যাককার্টেন কমিশনার মিটিংয়ে ওকলাহোমা মেয়র ক্রেইগ ইয়াং

  • 0

কৃষ্ণাঙ্গদের নিয়ে বর্ণবাদী ও এক সাংবাদিককে নিয়ে বিদ্বেষমূলক মন্তব্য করার অভিযোগে ওকলাহোমার ম্যাককার্টেন কাউন্টির চার কর্মকর্তাকে পদত্যাগের আহবান জানিয়েছেন গভর্নর কেভিন স্টিট।

তারা হলেন, ম্যাককার্টেন কাউন্টি শেরিফ কেভিন ক্লার্ডি, ডিস্ট্রিক্ট টু কমিশনার মার্ক যেনিংস, শেরিফের তদন্ত কর্মকর্তা অ্যালিসিয়া ম্যানিং ও জেল অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ল্যারি হেন্ড্রিক্স।

ফাঁস হওয়া একটি অডিও রেকর্ডিংয়ের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বিরুদ্ধে ওঠে এই অভিযোগ। অডিওটি গত উইকেন্ডে প্রকাশ করে স্থানীয় সংবাদমাধ্যম ম্যাককার্টেন গেযেট- নিউয। এরপর কাউন্টিজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়।

স্টেইট গভর্নর কেভিন স্টিট গত রোববার বিবৃতিতে বলেছেন, ‘ম্যাককার্টেন কাউন্টির কর্মকর্তাদের মুখে এমন ভয়ঙ্কর মন্তব্য শুনে আমি আতঙ্কিত এবং হতাশ… ওকলাহোমা স্টেইটে এ ধরণের বর্ণবাদী এবং বিদ্বেষপূর্ণ বক্তব্যের কোনো স্থান নেই। বিশেষত যারা স্টেইট অফিসের মাধ্যমে নিজ নিজ কমিউনিটির প্রতিনিধিত্ব করেন, তাদের কাছ থেকে এমন বক্তব্য মেনে নেয়া যায় না। আমি নির্বিকার থাকতে পারব না।‘ 

তিনি ওই চার কর্মকর্তাকে অবিলম্বে পদত্যাগ করতে বলেছেন। ওকলাহোমা স্টেইট ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশনকে ঘটনাটি খতিয়ে দেখার কথাও জানাবেন তিনি।

 

যা ঘটেছে

ম্যাককার্টেন গেযেট- নিউযের সাংবাদিক ক্রিস উইলিংহ্যামস গত ৬ মার্চ শেরিফ অফিস, ম্যানিং ও বোর্ড অফ কাউন্টি কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করেন। অভিযোগ করেন, কর্মকর্তারা তাকে অপমান করেছেন ও তার নাগরিক অধিকার ক্ষুণ্ন করেছেন।

সংবাদমাধ্যমটি দাবি করে, এ ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পর বোর্ড অফ কমিশনারের বৈঠক শেষে ওই চার কর্মকর্তার মধ্যে আলাপচারিতা হয়। এর কিছু অংশ গোপনে রেকর্ড করা হয়।

আরেক সংবাদমাধ্যম ‘ওকলাহোম্যান’ ওই অডিওর বরাতে জানিয়েছে, ম্যানিং ম্যাককার্টেন গেযেট- নিউযের কার্যালয়ে যেতে চেয়েছেন। উইলিংহ্যামসের সঙ্গে সেখানে সাক্ষাৎ হলে কী ঘটতে পারে তা নিয়ে কিছু শঙ্কার কথাও বলেছেন।

ওকলাহোম্যান-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, “ম্যানিং বলছিলেন, ‘সে (উইলিংহ্যামস) আমাকে কী করবে তা নিয়ে আমি চিন্তিত নই। বরং আমি তাকে কী করে ফেলব- তা নিয়ে আমি শঙ্কিত। আমার বাবা তো তাকে মারতেন। আমার বাবা অসুস্থ না হলে আজ ওই অফিসে যেতেন।‘ এরপর যেনিংস বলেন, ‘ওই পত্রিকার কোনো একটা খবরে আমার বাবাও বেশ বিরক্ত হয়েছিলেন একবার। তিনি তো ওই অফিসে গিয়ে তাকে (সাংবাদিককে) মেরেই ফেলতে চেয়েছিলেন।‘”

ওকলাহোম্যান জানায়, কথোপকথনের এক পর্যায়ে কৃষ্ণাঙ্গদের বিনা বিচারে মেরে ফেলা যাচ্ছে না বলে কর্মকর্তারা হতাশা প্রকাশ করছিলেন।

তবে সিএনএন এই অডিও রেকর্ডিংয়ের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। 

ম্যাককার্টেন গেযেট- নিউয দাবি করেছে, আইন মেনেই অডিওটি রেকর্ড এবং প্রকাশ করা হয়েছে।

তবে ম্যাককার্টেন কাউন্টি শেরিফ অফিস এক বিবৃতিতে বলেছে, ফাঁস হওয়া অডিওটি অবৈধভাবে রেকর্ড করা হয়েছে এবং রেকর্ডিংটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। রেকর্ডিংটি কিছু জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও দাবি করেছেন শেরিফ অফিসের কর্মকর্তারা।

 


0 মন্তব্য

Do you like cookies? 🍪 We use cookies to ensure you get the best experience on our website. Learn more...