প্রতিযোগীদের অভিযোগ, ৩ অগাস্ট ফাইনালের দুদিন আগে শরীর পরীক্ষা এবং ছবি তোলার নামে তাদেরকে টপ খুলতে বলা হয়েছিল। শরীরে কোনো দাগ, সেলুলাইট কিংবা ট্যাটু রয়েছে কি-না সেটিও পরীক্ষা করতে চেয়েছেন আয়োজকরা। কেউ কেউ বলেছেন, তাদের টপলেস ছবি তোলা হয়েছে।
ইউএস-ভিত্তিক এমইউও বলেছে, ফ্র্যাঞ্চাইজিটি ব্র্যান্ডের মান, নীতি কিংবা প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
সাহস নিয়ে অভিযোগ করার জন্য প্রতিযোগীদের ধন্যবাদ জানিয়েছে এমইউও। সেই সঙ্গে জানিয়েছে, নারীদের জন্য একটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি তাদের অগ্রাধিকার। একই ধরনের ঘটনা এড়াতে নীতি ও পদ্ধতিগুলোকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। প্রতিযোগিতায় যোগদানের জন্য কোনো পরিমাপ বা শারীরিক পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নেই বলেও পরিষ্কার করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
একই কোম্পানি হওয়ায় মালয়েশিয়াতেও এ বছরের প্রতিযোগিতা বাতিল করছে এমইউও।
ইন্দোনেশিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি ডিরেক্টর পপি ক্যাপেলা ইনস্টাগ্রামে বলেন, তিনি শরীর পরীক্ষার নামে কোনো সহিংসতা বা যৌন হয়রানিতে জড়িত মিস ইউনিভার্স ইন্দোনেশিয়া ২০২৩ আয়োজকদের কাউকে চেনেন না।
ক্যাপেলা জানান, তিনি যেকোনো ধরনের সহিংসতা বা যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে।
এর আগে আয়োজকদের বিরুদ্ধে স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে এক প্রতিযোগী বলেন, ‘আমি মনে করি আমার অধিকার লঙ্ঘন হয়েছে…। এ ঘটনা আমাকে মানসিকভাবে প্রভাবিত করেছে। আমার ঘুমোতে সমস্যা হয়েছে।’
আরেক অভিযোগকারী জানান, একটি আবদ্ধ ঘরে তাদের শরীর পরীক্ষা করা হয়েছিল, সেখানে কিছু পুরুষও উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার দরজা পুরোপুরি বন্ধ ছিল না।
জাকার্তা পুলিশ এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, এ ঘটনায় তারা তদন্ত করবে।
সাবেক মিস ইন্দোনেশিয়া মারিয়া হারফান্তি বলেন, এমন প্রতিযোগিতায় শরীর পরীক্ষা করাটা খুব স্বাভাবিক। তবে সাধারণত কাউকে নগ্ন হতে বলা হয় না। আয়োজকরা প্রায়ই প্রতিযোগীদের শরীরের অনুপাত পরীক্ষার জন্য বডি মাস ইনডেক্স (বিএমআই) জিজ্ঞাসা করেন।
এর আগে ২০১৩ সালে বিশ্বের বৃহত্তর মুসলিম দেশ ইন্দোনেশিয়ার মিস ওয়ার্ল্ড প্রতিযোগিতায় ‘বিকিনি রাউন্ড’ বাতিল করা হয়েছিল।